গুয়াংজু: অনেকগুলো লাথি খেলেন সাম্মি আক্তার। ভয়ে কুঁকড়ে যাওয়ার মতো অবস্থা।
মাগুরার দস্যি মেয়ের মুখ ফ্যাকাশে বর্ণ হয়ে ওঠে। ভাবতেও পারেননি আঘাতে জর্জরিত হতে হবে। কথা বলতেই কষ্ট হচ্ছিলো সাম্মির। তবুও বললেন,“আমি ভাবতে পারিনি প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নেব। সামর্থ্যরে পুরোটা দিয়ে চেষ্টা করেও লাভ হলো না। আমার কোন দোষ নেই। ”
সাম্মির দোষ নেই সত্যি কথা। কিন্তু যে কর্মকর্তারা এশিয়ান গেমসের ওজন না বুঝে ভোলাভালা মেয়েটিকে কঠিন প্রতিপক্ষের সামনে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন দোষটা আসলে তাদের ওপরই বর্তায়। তায়কোয়ান্দো ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদল হাসান রানার কাছে এবিষয়ে জানতে চাইলে অভিজ্ঞতার ঘাটতিকে বর্ম হিসেব দাঁড় করান। বলেন,“যে মেয়ের কাছে সাম্মি হেরেছে তিনি অন্তত ১৬ বার বিদেশে টুর্নামেন্ট খেলেছে। কিন্তু সাম্মির বিদেশের মাঠে খেলার অভিজ্ঞতা নেই। আমরা আগে পাঁচ থেকে ছয়টি দেশে খেলে অভিজ্ঞ হয়ে নেই। এরপর পদক পাব। ”
এখানেই শেষ নয়। তিনদিন আগে সাংবাদিকদের দারুণ এক তথ্য দিয়েছেন তায়কোয়ান্দো ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক। বলেছেন,“একটু আগে আসতে পারলে মেকিং করে ফেলতাম। ”
ভাগ্যভালো বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) গুয়াংজুতে রানাকে আগে নিয়ে আসেনি। তা না হলে কী কেলেঙ্কারিই না হতো।
গুয়াংজু সময়: ১৮৫৭ ঘন্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১০