ঢাকা: উত্তাপ নেই, বাদ্যবাজে না। গাড়ীর বহরও নেই।
অথচ কয়েক বছর আগেও ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেটের দলবদল নিয়ে কাবে কাবে উৎসব লেগে যেতো। কড়া পুলিশ পাহাড়ার ব্যবস্থা করা হতো সিসিডিএম অফিসে। অতীতের সেই জৌলুস হারিয়ে গেছে বলেই মনে করেন সূর্য্যতরুণে যোগ দেওয়া আব্দুর রাজ্জাক। বলেন,“প্রথম দিকে যখন ঢাকা লিগের দলবদলে এসে প্রাণ জুড়িয়ে যেত। এখন কেন যেন প্রাণহীন। ”
লিগের উত্তেজনাও আগের চেয়ে কমে গেছে বলে জানান জাতীয় দলের এই স্পিনার। তার মতে,“প্রিমিয়ার ক্রিকেট আগের মতো দর্শক টানতে পারে না। মিরপুরে খুব কম মানুষই খেলা দেখতে যায়। তবে ক্লাবের দিক থেকে একটা উত্তেজনা থাকে। সবদিক বিবেচনা করলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের চেয়েও বেশি চাপ থাকে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেটে। ”
আগের মৌসুমে গাজী ট্যাঙ্কে খেলা রাজ্জাক সূর্য্যতরুণে এসেছেন পুলের কোটায়। তার সঙ্গে পুলের বাকি দুই ক্রিকেটার হলেন সোহরাওয়ার্দী শুভ ও জুনায়েদ সিদ্দিক।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আশরাফুলকে নিয়ে ভালোই হয়েছে ক্রিকেট কোচিং স্কুলের দল। গতমৌসুমে মোহামেডানে খেলা জাতীয় দলের এই ক্রিকেটার শীর্ষ ক্লাব থেকে সাড়া পাচ্ছিলেন না। বলেন,“আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে না থাকায় দলবদলে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। তবে সিসিএস’এ এসে আমি খুশি। অনেকদিন ধরেই সিসিএস আমার প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছে। সবমিলিয়ে ভালো দল হয়েছে। আশা করি ভালো হবে। ”
সিসিএস’র সভাপতি বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয় এসেছিলেন খেলোয়াড়দের দলবদল দেখতে। বলছিলেনে,“একসময় আমি দলবদল করতাম। এখন কাবের জন্য আসছি। ক্রিকেটের উন্নয়নের অংশ হয়ে আমার কাজ শুরু হলো। আগের বছরও ক্লাব কর্মকর্তা হিসেবে এসেছিলাম। এবার বেশি ভালো লাগছে ভালো দল গড়তে পেরে। ”
সূর্য্যতরুণ, সিসিএস ছাড়াও প্রথম দিন দলবদল করতে এসছিলো কলাবাগান ক্লাব, বাংলাদেশ বিমান, বিকেএসপি, ভিক্টোরিয়া, ওল্ডডিওএইচএস এবং ওরিয়েন্ট এসসি।
পেসার শফিউল ইসলাম এবং ডলার মাহমুদকে দলে ভিড়িয়েছে বিমান। কলাবাগানে খেলছেন আরেক পেসার সাহাদাত হোসেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪১ ঘন্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১০