ঢাকা: বল খামছে ধরো। এবার ওপর থেকে ছুড়ে দাও।
উইকেটে বল পিচ করাচ্ছিলেন না কেউ। শূন্যে ভাসিয়ে একে অন্যের হাতে বল করছিলেন। উদ্দেশ্য স্লোয়ার দেওয়ার প্রাথমিক ধাপ রপ্ত করা। প্রায় আধাঘন্টা ধরে চলে এই অনুশীলন। এরপর পিচের ওপর বোলিং হয় প্রায় ঘন্টা দেড়েক। অথচ মাশরাফি, শফিউল, সাহাদত স্লোয়ার বোলিং করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছিলেন।
শফিউল ইসলামের ভাষায় স্লোয়ার ডেলিভারি দেওয়ার কৌশল রপ্ত করতে অনেকটা সময় লাগবে। কঠিন অনুশীলন মনে হচ্ছ তার কাছে। বলেন,“একদিনের অনুশীলনে কিছুই হবে না। দিনের পর দিন অনুশীলন এবং খেলার মধ্যে স্লোয়ার দিয়ে উন্নতি করতে হবে। রাতারাতি ভোজবাজির মতো বদলে ফেলা সম্ভব হবে না। তবে সামনে প্রিমিয়ার ক্রিকেট আছে সেখানে স্লোয়ার বোলিং পরীক্ষা করে দেখা যেতে পারে। ”
মাশরাফি বিন মুর্তজা, রুবেল হোসেন, শফিউল ইসলাম, নাজমুল হোসেন, সৈয়দ রাসেল ও মাহমুবুল আলম রবীনদের জন্য বিশেষ এই বোলিং স্কিলে উন্নতি করা সহজ হলেও জহিরুল ইসলাম অমি এবং জুনায়েদ সিদ্দিকের অবস্থা কি হবে।
ব্যাটিং নিয়ে যাদের অধ্যাবসায় তাদেরকেই কি না পেস বোলিং শেখানো হচ্ছে। আসলে একজন বোলিং অল-রাউন্ডার তৈরির চেষ্টা করছেন ইয়ান পন্ট। প্রধান কোচ জেমি সিডন্সেরও এতে আপত্তি নেই। উচ্চতার কারণে জহিরুল এবং জুনায়েদকে বেছে নিয়েছেন কোচরা। কিন্তু জহিরুল পেস বোলার হতে চান না। স্পিনার হলেও আপত্তি নেই তার। বলেন,“আমি লেগ স্পিন করতে পারি। লিগে আমার একটি উইকেটও আছে। কিন্তু কোচরা আমাকে পেস বোলার বানাতে চায়। আসলে ব্যাটিংয়ের পর আমার পছন্দ উইকেট কিপিং। ”
পেস বোলিং করতে কেমন লাগছে? জুনায়েদকে এমন প্রশ্নের পর অসহায়ের হাসি হাসেন। কারোই বুঝতে বাকি থাকে না ইচ্ছের বিরুদ্ধে বোলিং শিখতে হচ্ছে তাকে। কিন্তু ইয়ান পন্ট বলছেন ভালো পেসার হওয়ার সবগুণই এই দুই ক্রিকেটারের আছে। শুধু সময়ের ব্যাপার। ”
জুনায়েদ এবং জহুরুলের পেস বোলিং অন্যকারণেও পছন্দের নয়। অতিরিক্ত শ্রম দিতে হয় পেস বোলারদের। এই দুই ক্রিকেটারের মতে,“ব্যাটিংয়ের চেয়ে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয় পেস বোলারদের। বলতে গেল দ্বিগুণ পরিশ্রম করেও বোলার হিসেবে সফল হওয়া কঠিন। ”
বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘন্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১০