ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

খেলা

ফেডারেশন কাপের শিরোপা আবাহনীর

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১০
ফেডারেশন কাপের শিরোপা আবাহনীর

ঢাকা: গ্রামীণফোন ফেডারেশন কাপের ফাইনালে লে. শেখ জামালকে ৫-৩ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। ঘানার স্ট্রাইকার আউদু ইব্রাহিমের হ্যাটট্রিক গোলের সুবাদে ১০ বছর পর আবারো শিরোপা জিতলো আকাশী-নীলরা।

কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে টুর্নামেন্টের ফাইনালের নির্ধারিত সময় ৩-৩ গোলে সমতা থাকলেও অতিরিক্ত সময়ে ইউসুফ আমিনুল ও ইব্রাহিমের গোলে বড় জয় পায় আবাহনী। সেই সঙ্গে ফেডারেশন কাপের শিরোপা খরা কাটিয়ে অষ্টমবারের মতো শিরোপা ঘরে তুললো প্রাণতোষ বাহিনী।

ম্যাচের শুরুতে আক্রমণটাও ছিলো তারকা নির্ভর দল শেখ জামালের খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকেই। ২ মিনিটে এনামুলের ফ্রি কিক থেকে রেজাউলের হেড লক্ষ্য ভ্রষ্ট না হলে ভালোই ভুগতে হতো আবাহনীকে। ৪ মিনিটে পুনরায় আক্রমণে যায় ফেভারিটরা। বক্স থেকে আবাহনীর আফ্রিকান স্ট্রাইকার ফ্র্যাঙ্কের কোনাকোনি শট অভিজ্ঞ গোলরক আমিনুল ফিষ্ট করে এ যাত্রায় বাঁচিয়ে দেন শেখ জামালকে। ২৪ মিনিটে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন আউদু ইব্রাহিম। গোলরক্ষককে একা পেয়েও তার মাটি কামরানো শটে বল সাইড বার ঘেসে বাইরে চলে যায়।

তবে ৩১ মিনিটে এগিয়ে যায় নবাগতরা। জাহিদের ক্রস থেকে দেশ সেরা স্ট্রাইকার এনামুল জালে বল জড়ালে ১-০ তে এগিয়ে যায় শেখ জামাল। অবশ্য এক মিনিট পরই সমতায় ফেরে আবাহনী। সেন্টার থেকে উজ্জ্বলের লবে বক্সের ভেতরে বল পেয়ে যান ফ্র্যাঙ্ক। বল পেয়েই তিনি দ্রুত গতিতে বাড়িয়ে দেন ইব্রাহিমের দিকে। আমিনুলের চোখ ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন ইব্রাহিম। সঙ্গে সঙ্গে উল্লাসে ফেটে পড়ে আবাহনীর গ্যালারী।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে পুনরায় গোলের দেখা পেয়ে যায় শেখ জামাল। ৪৭ মিনিটে এমিলির ক্রস থেকে স্ট্রাইকার এনামুলের হেড জালে জড়ালে ২-১ এ এগিয়ে যায় আমিনুল বাহিনী। দুই মিনিট পরই পেনাল্টি পায় আবাহনী। জিতুর শটে বল বক্সে দাঁড়ানো জাহিদের হাতে লাগলে রেফারী আজাদ রহমান পেনাল্টির বাঁশি বাজান। স্পট কিক থেকে গোল করে আবারও প্রাণতোষ বাহিনীকে সমতায় ফেরান ফ্র্যাঙ্ক (২-২)।

৭৯ মিনিটে আরও একটি সুযোগ কাজে লাগিয়ে ফেলে আবাহনীর আক্রমণ ভাগের ফুটবলাররা। বক্সে বল পেয়ে আউদু ইব্রাহিমের শট তিন ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে জালে জাড়ালে ৩-২ গোলে এগিয়ে যায় ফেভারিটর আবাহনী। গ্যালারীতে তখন থেকেই জয়ের উৎসব করতে থাকেন আবাহনীর সমর্থকরা। তবে তাদের থামিয়ে দেন শেখ জামালের মামুন। ৮৫ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে মামুনের দূর পালার শটে পরাস্ত হন আবাহনীর গোলরক্ষক জিয়া। সে সঙ্গে ৩-৩ গোলে সমতায় ফেরে শেখ জামাল।

নির্ধারিত সময়ের খেলা অমীমাংসিতভাবে শেষ হলে অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে গড়ায় ম্যাচ। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে উত্তেজনা থাকলেও গোলের দেখা মেলেনি কোন শিবিরেরই। দ্বিতীয়ার্ধের ১২ মিনিটে দুর্ঘটনা ঘটে যায় শেখ জামাল শিবিরে। নির্ধারিত সময়ে হাতে বল লাগায় এবং অতিরিক্ত সময়ে রেফারী বাঁশি বাজালেও বলে কিক করায় লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন রেজাউল করিম। ফলে বাকি সময়টুকু ১০ জনকে নিয়ে খেলতে হয় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাববক।

অতিরিক্ত সময়ের ২১ মিনিটে বাঁ প্রান্ত দিয়ে উজ্জ্বল কর্নার কিক নিলে বক্সে দাঁড়ানো সুযোগ সন্ধানী ইউসুফ শট করলে বোকা বনেন দেশ সেরা গোলরক্ষক আমিনুল। শেষ বাঁশি বাজার আগে শেখ জামালের হারের কফিনে শেষ পেরেক ঠোকেন ইব্রাহিম। শুভ্রের ফ্রি কিক থেকে বল বক্সের ভেতর থাকা ইব্রাহিম বুক দিয়ে নামিয়েই তীব্র শটে নিশানাভেদ করেন।

ম্যাচ শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরুস্কার বিতরণ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা গ্রুপের কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির ফেয়ার প্লের জন্য মুক্তিযোদ্ধার খেলোয়াড় জেমস মগাকে এক লাখ টাকা প্রদান করেন।

এছাড়া ফাইনালে গোল করা আবাহনীর আউদু ইব্রাহিম ও শেখ জামালের ফরোয়ার্ড এনামুলকে এক লাখ টাকা করে প্রদান করা হয়। ফাইনালে গোল দেওয়া অন্যান্যদের ৫০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘন্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।