ঢাকা: গ্রামীণফোন ফেডারেশন কাপের চুড়ান্ত পর্বে ‘এ’ গ্রুপের শেষ ম্যাচে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের সঙ্গে ড্র করেও সেরা চারে জায়গা করে নিয়েছে বর্তমান রানার্সআপ ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। গোল গড়ে গ্র“প চ্যাম্পিয়ন হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে ধানমন্ডির ক্লাবটি।
কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে শুরু থেকেই গোল পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে আবাহনী। হারলেই প্রতিযোগিতা থেকে নিশ্চিত বিদায়। তাই প্রাণপনেই লড়ে যায় দুই ভাইয়ের দল আবাহনী ও শেখ রাসেল।
১২ মিনিটে গোলের সুযোগ নষ্ট করে শেখ রাসেল। ইউসুফের থ্রুতে মেজবাউল হক মানিক বল পেয়ে ক্রস করলেও বক্সে শাহেদের হেড ক্রস বার ঘেসে বাইরে চলে যায় মাঠের বাইরে।
৩৪ মিনিটে লিংকনের ফ্রি কিক থেকে বক্সে দাঁড়ানো প্রানতোষ হেড নিলেও প্রতিপরে জাল খুজে পায়নি বল। ৬ মিনিট পর আবারো সহজ সুযোগ হাতছাড়া হয় অধিনায়ক প্রানতোষের। এবার উজ্জল ডানপ্রান্ত দিয়ে দু’ডিফেন্ডারের পায়ের ফাঁকা দিয়ে বল বক্সে পাঠালেও প্রানতোষের দুর্বল শট সহজেই নিজের গ্রীপে নিয়ে নেন গোলরক মামুন খান।
প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার এক মিনিট আগে আক্রমণে যায় ফেভারিটরা। এবারও তাদের হতাশ করেন গোলরক মামুন। বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া জিতুর জোড়ালো শট চমৎকারভাবে ঠেকিয়ে দেন তিনি।
দ্বিতীয়ার্ধে মাঝমাঠের দুর্বলতার সুযোগে আবাহনীকে চাপে ফেলে শেখ রাসেল। আবাহনীর গোলরক জিয়াউর রহমান জিয়ার দৃঢতায় কোনো সুযোগ কাজে লাগতে পারেনি রাসেলের স্ট্রাইকাররা।
৮২ মিনিটে গোলের সম্ভাবনা সৃষ্টি হয় আবাহনীর। বক্সের বাইরে থেকে সোহাগের ফ্রি কিক দুর্দান্তভাবে ফিস্ট করে কর্নারের বিনিময়ে রা করেন মামুন। ৮৫ মিনিটে বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়া ইউসুফকে অবৈধভাবে ফেলে দেন আবাহনীর রণভাগ খেলোয়াড় মামুন মিয়া। পেনাল্টির নির্দেশ দেন রেফারি। থমথমে পরিবেশে পেনাল্টি নিতে এগিয়ে আসেন রাসেলের মরক্কো স্ট্রাইকার ও অধিনায়ক সামির ওমারি। তার শট ক্রসবার ঘেষে বাইরে যেতেই উল্লাসে ফেটে পরে আবাহনী শিবির।
বাকি সময়ে কোনো দলই আর গোল না পাওয়ায় সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয় ধানমন্ডির ক্লাবটি।
চূড়ান্ত পর্বে তিন ম্যাচের দুটিতে ড্র ও এক জয় নিয়ে আবাহনী পয়েন্ট দাঁড়ায় পাঁচ। অন্যদিকে তিন ম্যাচেই ড্র করে শেখ রাসেলের সংগ্রহ তিন পয়েন্ট। গ্র“পের অপর দল হিসেবে শীর্ষ চারে জায়গা করে নেয় লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল ধানমন্ডি কাব।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৬ ঘন্টা, অক্টোবর ২২, ২০১০