ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

মেরিনার্স ঝড়ে বিধ্বস্ত দিলকুশা স্পোর্টিং ক্লাব

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৪
মেরিনার্স ঝড়ে বিধ্বস্ত দিলকুশা স্পোর্টিং ক্লাব

আজাদ স্পোর্টিং ক্লাবের পর এবার দিলকুশা স্পোর্টিং ক্লাবকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলায় মাতলেন ঢাকা মেরিনার ইয়াংস ক্লাবের খেলোয়াড়রা। গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়ার ডিভিশন হকি লিগে আজ বুধবার (১৩ মার্চ) দিনের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে দিলকুশার জালে গুণে গুণে ১৮টি গোল পুরেন মামুন-উর-রশিদের শিষ্যরা।

 মেরিনার্সের ৭ জন খেলোয়াড় মিলে এই গোল উৎসবে মাতেন। এর মধ্যে ডিফেন্ডার সোহানুর রহমান সবুজ একাই করেন হ্যাটট্রিকসহ ৫ গোল। ম্যাচে আরো দুটি হ্যাটট্রিক দেখেন মওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকরা। মাঈনুল ইসলাম কৌশিক এবং প্রিন্স লাল সামন্ত  মেরিনার্সকে হ্যাটট্রিক উপহার দেন। এছাড়া জয়ী দলের মিলন হোসেন, সাদাফ সালেকীন ও আবেদ উদ্দিন জোড়া গোল করেন এবং রাহিদ হোসেনের স্ট্রিক থেকে আসে এক গোল। দিলকুশা স্পোর্টিং ক্লাবের পক্ষে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন মিঠু। চলমান লিগে ১৮-১ গোলের ব্যবধানের জয়ই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জেতা কোনো ম্যাচ। এর আগে আজাদকে ১৩-২ গোলের ব্যবধানে হারানো দলটির নামও মেরিনার্স।

আজ খেলার ১২ মিনিটে আজাদের জালে প্রথম গোলটি পুরেন সোহানুর রহমান সবুজ। পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করে দলকে শুরুতে এগিয়ে নেন (১-০)। খেলার ১৩ সুবজের গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করে দল (২-০)। ১৪ মিনিটে আবেদ উদ্দিনের ফিল্ড গোলে ৩-০ তে এগিয়ে থেকে প্রথম কোয়ার্টার শেষ করে মেরিনার্স।

দ্বিতীয় কোয়ার্টারের ২০ মিনিটে সাদাফ সালেকীনের ফিল্ড গোলে ব্যবধান বেড়ে দাঁড়ায় ৪-০ তে। ২৮ মিনিটে কৌশিকের ফিল্ড গোলে ৫-০ গোলের অগ্রগামিতা মেরিনার্সের। পরের মিনিটে মিলন হোসেন ফিল্ড গোলে ৬-০ তে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় কোয়ার্টার শেষ করে মেরিনার্স।

তৃতীয় কোয়ার্টারে দিলকুশার জালে মাত্র ২টি গোল পুরতে সমর্থ হয় মেরিনার্স। ৩৮ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে দলকে সপ্তম গোলের স্বাদ দেন প্রিন্স লাল সামন্ত (৭-০)। ৪০ মিনিটে সবুজের পেনাল্টি কর্নারে ব্যবধান বেড়ে দাঁড়ায় ৮-০ গোলের। এই গোলের মধ্য দিয়ে হ্যাটট্রিকপূর্ণ করেন সবুজ। লিগে এটি তার দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক। এর আগে আজাদের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করেন তিনি।

খেলার চতুর্থ ও শেষ কোয়ার্টারে রীতিমতো তাণ্ডব চালায় মেরিনার্স। শেষ ১৫ মিনিটে প্রতিপক্ষের জালে ১০ দেয় দলটি। ৪৬ মিনিটে মিলন হোসেনের গোলে ব্যবধান ৯-০ তে দাঁড়ায়। ৪৮ ও ৪৯ মিনিটে পর পর দুটি ফিল্ড গোল করে দলকে ১০-০ ও ১১-০ গোলের অগ্রগামিতার পাশাপাশি নিজের হ্যাটট্রিকপূর্ণ করেন অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড কৌশিক। খেলার ৫৩ ও ৫৪ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকে দলকে ১২-০ ও ১৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে নেন সবুজ। ৫৫ মিনিটে প্রিন্স লালের ফিল্ড গোলে ব্যবধান দাঁড়ায় ১৪-০ গোলের। এরপর ৫৬ মিনিটে সাদাফের ফিল্ড গোলে ব্যবধান বেড়ে দাঁড়ায় ১৫-০ গোলের। ৫৭ মিনিটে চমৎকার এক ফিল্ড গোলে এবারের লিগে নিজের প্রথম হ্যাটট্রিকপূর্ণ করেন মিডফিল্ডার প্রিন্স লাল (১৬-০)। ৫৮ মিনিটে রাহিদের গোল ১৭-০ তে এগিয়ে দেয় মেরিনার্সকে। জয়ী দলের হয়ে ৫৯ মিনিটে সবশেষ গোলটি করেন আবেদ উদ্দিন (১৮-০)। খেলার ৫৯ মিনিটে দিলকুশার হয়ে একমাত্র গোলটি করেন মিঠু (১৮-১)।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০২৪
এআর/আরইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।