ঢাকা: ক্রিকেট বোদ্ধারা সময়টাকে ‘নার্ভাস নাইন্টিনাইন’ বলেন। যার অর্থ ব্যক্তিগত ৯৯ রানে নার্ভ শক্ত রাখা কঠিন।
১১টি চার ও একটি ছয়ের মার দিয়ে ১০৮ বলে কিউইদের বিপক্ষে প্রথমবার শত রানের কোটা পেরিয়ে যান বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবেও একদিনের ক্রিকেটে পাঁচটি শতক পূর্ণ হয় তার। বোলিংয়েও অসাধারণ নৈপূর্ণ দেখেয়েছেন। প্রথম ম্যাচে চারটি, তৃতীয় ম্যাচে দু’টি এবং চতুর্থ ম্যাচে (বৃহস্পতিবার) তিনটি উইকেট নিয়েছেন সাকিব।
মাইক্রো ম্যাক্স ওডিআই কাপের প্রথম ম্যাচে ৫৮, তৃতীয় ম্যাচে হার না মানা ১৩ এবং চতুর্থ ম্যাচে ১০৬ রানের অনিন্দ্য সুন্দর ইনিংস খেলেছেন ২৩ বছর বয়সী সাকিব।
সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচটি অনেক কারণেই অধিনায়কের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেশের মাঠে ব্যক্তিগত হাজার রানের মাইলফালক স্পর্শ করেছেন ৪৭ রান তোলার পরই।
৯৭টি একদিনের ম্যাচ খেলা জাতীয় দলের এই অল-রাউন্ডার প্রথম শতক করেছিলেন কানাডার বিপক্ষে ২০০৭ সালে। এন্টিগায় ত্রিদেশীয় ওই ক্রিকেট টুর্নামেন্টে অপরাজিত ১৩৪ রান তুলেছিলেন। এরপর মুলতানে ২০০৮ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১০৮ রান এবং জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে গতবছর দুই সিরিজে দুটি সেঞ্চুরি করেছেন মাগুরার সাকিব।
একদিনের ক্রিকেটে ২৭৪২ এবং ২১ টেস্টে ১১৭৯ রান করেছেন বাঁহাতি এই ক্রিকেটার। ৯৭ ম্যাচে উইকেট পেয়েছেন ১১৮টি। ২১ টেস্টে ৭৫টি জমা হয়েছে অধিনায়কের ভান্ডারে। বাংলাদেশ অধিনায়ক সবচেয়ে কম সফল হয়েছেন টি-টোয়েন্টিতে। এপর্যন্ত ১৪টি ২০ ওভারের ম্যাচ খেলে ২০৭ রান এবং ১৭টি উইকেট পেয়েছেন।
চারটি করে শতক নিয়ে সাকিবের পেছনে আছেন মোহাম্মদ আশরাফুল এবং শাহরিয়ার নাফিস। এছাড়া তামিম ইকবাল করেছেন তিনটি শতক।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘন্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১০