ঢাকা: ড্যানিয়েল ভেট্টোরি মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন সাকিব আল হাসানকে অকার্যকর করা গেলে বাংলাদেশকে কুপোকাত করা সহজ হয়। অমূলক কিছু ভাবেননি নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক।
বাংলাদেশ: ২৪১ (ওভার ৪৮.১)
সাকিব তুলেছেন ১০৬ রান। বাকি ১০ জন এবং অরিরিক্ত ৯ রানের যোগফল ১৩৫। অর্থাৎ শাহরিয়ার নাফিস (০), ইমরুল কায়েস (৩৭), জুনায়েদ সিদ্দিক (১৭), রকিবুল হাসান (৬), মুশফিকুর রহিম (১৩), মাহমুদউল্লা রিয়াদ (৩৭), সোহরাওয়ার্দী শুভ (৮), আব্দুর রাজ্জাক (৭), শফিউল ইসলাম (১) ও রুবেল হোসেনের (০*) রানের ওজন অধিনায়কের রানের চেয়ে সামান্য বেশি। অতএব নিউজিল্যান্ড বনাম সাকিবের লড়াই, বাহুল্য বলা হবে না।
ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে দলীয় ২১৬ রানে সাজঘরে ফেরার আগে ক্যারিয়ারে পঞ্চম সেঞ্চুরি যোগ করেছেন সাকিব। ১০৮ বলে ১১টি চার ও একটি ছয়ের মার দিয়ে পূর্ণ করেছেন শতকটি। ১১৩ বলে ১০৬ রানের দর্শণীয় ইনিংস খেলে ভেট্টোরির বলে ফিরতি ক্যাচ তুলেছেন বাঁহাতি অল-রাউন্ডার। মাহমুদউল্লাকে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে যোগ করেছেন ৬৮ রান।
সাকিবের বিদায়ের পর শেষ চার উইকেটে এসেছে ২৫ রান। ইনিংস গুটিয়ে যাওয়ার আগে ৪৮.১ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করতে পেরেছে বাংলাদেশ। অবশ্য ব্যাটিংয়ের শুরুতে যেভাবে উইকেট হারিয়েছে টাইগাররা তাতে ২৪১ রানে পূঁজি প্রতিপক্ষকে চ্যালেঞ্জ জানানোর জন্য যথেষ্ট।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশ প্রথম উইকেট হারিয়ে ছিলো উদ্বোধনী ওভারের দ্বিতীয় বলে। আগের দুই ম্যাচে রান পাওয়া শাহরিয়ার বৃহস্পতিবার খাতা খুলতে পারেননি। দলীয় ৪৪ রানে আরো দুই ব্যাটসম্যান জুনায়েদ এবং রকিবুলকেও হারায় স্বাগতিকরা। এরপর সাকিব এসে ইনিংসটাকে কিছুটা মেরামত করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২২ ঘন্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১০