ঢাকা, বুধবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ মে ২০২৪, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

অভিনব পথে এগোচ্ছে নিউজিল্যান্ড

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১২, ২০১০
অভিনব পথে এগোচ্ছে নিউজিল্যান্ড

ঢাকা: প্রায় দুই ঘন্টার ব্যাটিং-বোলিংকে কঠোর অনুশীলন না বলে বুদ্ধির পরীক্ষা বলাই সমীচীন। ঘাসের ওপর স্পিন বলে অভ্যস্ত হওয়ার চেষ্টা।

যাতে করে সাকিব, সোহরাওয়ার্দী এবং রাজ্জাককে মোকাবেলার কাজটা সহজ হয়।

বল মাটিতে পড়ে বাক নিচ্ছিলো। সে অবস্থাতেই খেলার চেষ্টা করছিলেন ড্যানিয়েল ভেট্টোরিসহ বাকিরা। এধরণের অনুশীলন একেবারে নতুন না হলেও বাঁহাতি স্পিনারদের মোকাবেলার কাজটা সহজ করে দেবে বৈকি।

এই বিশেষ ধরণের অনুশীলনে ব্যাটসম্যানদের কঠিন পরীক্ষায় ফেলে দেয়। বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনাররা যেমন ফাঁদ পেতে রাখেন। অনেকটা তাই। বলের নড়াচড়ার ওপর শরীরটাকে আগ-পিছ করতে হাঁপিয়ে উঠছিলেন ব্যাটসম্যানরা। কখনো ডাউন দ্যা উইকেটে, কখনো ব্যাক ফুটে খেলতে হয়েছে।

ঐচ্ছিক অনুশীলন হওয়ায় ভেট্টোরির নেতৃত্বে মোট আটজন মাঠে এসেছিলেন। যারা আসেননি তারা কিছুটা হলেও স্পিন বোলিংটাকে মিস করেছেন।

ক্রিকেটাররা কেউ কথা না বলায় ম্যাচের পরের দিনের এই অনুশীলন সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া গেলো না। তবে ফিল্ডিং কোচ ট্রেন্ট উডহিল যা বলেছেন তার অর্থ দাড়ায় “ব্যক্তিগত স্কিল বাড়াতে আজ (মঙ্গলবার) অনুশীলনে এসেছি। সবার ভুলগুলো শুধরে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। যেন বৃহষ্পতিবার সেরা ক্রিকেটটা খেলতে পারে। ”

যাদের ওপর অনেক বছর ধরে আধিপত্য দেখিয়েছে নিউজিল্যান্ড সেই বাংলাদেশের কাছে এভাবে নাকাল হওয়াটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেটাররা। উডহিলের মতে,“দলের সবাই হতাশ। এরকম পরিস্থিতিতে পড়তে হবে, এটা মনে হয় কেউ ভাবেনি। ২-০ ম্যাচে পিছিয়ে আছি। তবে এখন সবাই চেষ্টা করছে পরের ম্যাচগুলোয় ভালো খেলতে। ”

সিরিজে এখনো দুই ম্যাচ বাকি আছে। চেষ্টা করলে সিরিজে সমতা নিয়ে আসতে পারবে নিউজিল্যান্ড। ফিল্ডিং কোচ তেমন ইঙ্গিতই দিয়েছেন,“সবাই দেশের জন্য খেলছে। তাই প্রতিটি ম্যাচই সবার কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। দেশের সবাই টিভিতে খেলা দেখছে। যদিও তাদের প্রত্যাশা মত এখনো খেলতে পারিনি। সাফল্যের ুধা সবারই আছে। শুধু সাফল্যের রাস্তায় ওঠার পথটা খুঁজে পেলে হয়। ”

বাংলাদেশের প্রশংসাও করেছেন কিউই কোচ,“বাংলাদেশের খেলা দেখেই বোঝা যায় কি দারুনভাবে প্রস্তুত হয়ে আছে দলটি। জেমি সিডন্সের মত কোচ আছে। অন্য কোচিং স্টাফরাও ভালো। আর দলে আছে ওয়ানডের সেরা অলরাউন্ডার। সেই সাকিব দুর্দান্ত খেলছে। আমরা কখনোই ভাবিনি যে এক ফুঁতে বাংলাদেশকে উড়িয়ে দেব। ”

বাংলাদেশ দল যখন হোটেলে বিশ্রাম করছে নিউজিল্যান্ডের বেশিরভাগ ক্রিকেটারই তখন মাঠে অনুশীলনে ব্যস্ত ছিলেন। ম্যাচের পরের দিন অনুশীলনকে বাকা চোখে দেখছেন না মুশফিকুর রহিম। বলেন,“বিশ্বকাপ যেহেতু এখানে হবে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতেই তারা বোধহয় নেটে একটু বেশি প্র্যাকটিস করছে। মনে হয় না অন্যকোন কারণে এটা হয়েছে। ”

বাংলাদেশ সময়: ২২২৮ ঘন্টা, অক্টোবর ১২, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।