ঢাকা: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)’র নীচতলার মেডিকেল কক্ষ থেকে ক্রাচে ভর করে বেরিয়ে আসছিলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। লিকোপ্লাস দিয়ে মোড়ানো ডান পায়ের গোড়ালি।
বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক এতটাই দৃঢ়চেতা। যে কোন পরিস্থিতিতে নিজেকে স্বাভাবিক রাখার দারুণ গুণ আছে নড়াইল এক্সপ্রেসের।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে মঙ্গলবার প্রথম ওয়ানডেতে বোলিংয়ের সময় হোঁচট খেলে গোড়ালিতে আঘাত পান মাশরাফি। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বিপত্তিটা ঘটে। অধিনায়ককে ছাড়াই ম্যাচের বাকিটা খেলতে হয় বাংলাদেশকে। সহ-অধিনায়কের নেতৃত্বে বিজয়ের পতাকাও ওড়ায় টাইগার বাহিনী।
বিজয়ের আনন্দে সতীর্থদের জন্য পার্টির আয়োজন করেছেন মাশরাফি। স্থানীয় একটি হোটেলে অনুষ্ঠানটি উপভোগ্য করে তোলার জন্যই গোড়ালিটা লিকোপ্লাস্ট দিয়ে মুড়িয়ে নিয়েছেন অধিনায়ক। বলছিলেন,“জয়টাকে উদযাপন করার জন্য আমি এবং ম্যানেজার সাদ ভাই পার্টির ব্যবস্থা করেছি। ”
সুস্থ থাকলে অনুষ্ঠানটা বেশি উপভোগ্য হতো কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে মাশরাফি বলেন,“আসলে মন খারাপ করার কিছু নেই। আমরা জিতেছি সেটাই আসল। ”
বাংলাদেশ জিতলে অন্যদের চেয়ে নড়াইল এক্সপ্রেসের খুশিটাই বোধহয় বেশি থাকে। এখনও আছে। হয়তো ভবিষ্যতেও থাকবে। নইলে সিরিজে অনিশ্চিত জেনেও এতটা স্বাবলিল থাকার কথা নয়।
গোড়ালির ভেতরে রক্তক্ষরণ থামাতে মঙ্গলবার বিকেল থেকেই পায়ে বরফ দিচ্ছেন মাশরাফি। ফিজিও মাইকেল হেনরি এবং চিকিৎসক দেবাশিস চৌধুরী সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করছেন। ২৪ ঘন্টা পরেও গোড়ালির ফোলা কমেনি। ভেতরে রক্তক্ষরণও বন্ধ হয়নি। ৪৮ ঘন্টা পর্যবেক্ষণ শেষ হলে এমআরআই করা হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবির চিকিৎসক দেবাশিস।
অধিনায়ক বলেন,“সাধারণত এসব ক্ষেত্রে সুস্থ হতে তিন-চার সপ্তাহ সময় লেগে যায়। সমস্যাটা বেশি হলে পরিচর্যা করে সুস্থ হয়ে খেলায় ফিরতে সময়টা বেশি লাগে। ফিজিও এবং চিকিৎসক দুজনই দেখছেন। দেখা যাক কী হয়। ”
পিচ্ছিল মাঠে বোলিংটা কঠিন হয়ে উঠেছিলো মাশরাফির জন্য। নো বল চেক দেওয়ার জন্য চেষ্টা করছিলেন। বিধিবাম নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গোড়ালিতে চোট পান।
নিজের চোট নিয়ে ভাবছেন না অধিনায়ক। বরং সতীর্থদের সুস্থ থাকাই অনেক বড় মনে করছেন মাশরাফি,“আমি বা নাজমুল (নাজমুল হোসেন) অসুস্থ হলে কিছু আসে যায় না। সাকিব এবং রাজ্জাকের কিছু হলে বড় সমস্যা হয়ে যেতো। ”
বাংলাদেশ সময়: ২২১০ ঘন্টা, অক্টোবর ০৬, ২০১০