ঢাকা: অনুশীলনে বাংলাদেশ দল দারুণ ব্যাটিং করে। ইচ্ছে মতো চার-ছক্কার ফোঁয়ারা ছড়ায়।
নির্ধারিত ৫০ ওভার ব্যাটিংও করতে পারেনি মাশরাফি বাহিনী। তিন বল বাকি থাকতেই শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরে ফিরেছেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। নেতার ব্যাট থেকে এসেছে ১৫ রান।
শুরুর সঙ্গে শেষটা অবশ্য মেলানো যাচ্ছে না। শাহরিয়ার নাফিস এবং ইমরুল কায়েসের উদ্বোধনী জুটি দারুণ করে। ছন্দপতন ঘটে ইমরুলের বিদায়ে। ৩২ বলে ১৬ রান নিয়ে কাইল মিলসের শিকার হন তিনি।
তামিম ইকবালের জায়গায় খেলতে আসা শাহরিয়ার নাফিস চেষ্টা করেন রানের গতি বাড়াতে। প্রায় দুই বছর পর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে আসা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান ৩৫ রানের বেশি করতে পারেননি। ড্যানিয়েল ভেট্টোরির বলে সরাসরি বোল্ড হন নাফিস।
এরপর রকিবুল হাসান ২১, জুনায়েদ সিদ্দিকী ৩০ এবং মুশফিকুর রহিম ২২ রান করে ফিরে যান। উইকেটে তখনো দাপট দেখাচ্ছিলেন কাউন্টি ক্রিকেট খেলা সাকিব আল হাসান। কিন্তু বাকি ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় রানের গতি মন্থর হয়ে আসে। লোয়ার মিডল-অর্ডার এবং টেলেন্ডে দুই অঙ্কের কোটায় পৌঁছাতে পারেননি কোন ব্যাটসম্যান।
প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যান রিয়াদ ৩ রান করে জেসি রাইডারের বলে ক্যাচ তুলে বিদায় নেন। নাঈম ইসলাম ২২ বলে ৯ রান তুলে অ্যান্ডি ম্যাককের শিকার হন।
কাইল মিলসের কাছে বোল্ড হওয়ার আগে ৫১ বলে ৫৪ রান করেন সাকিব। ৮টি চারের মার দিয়ে নিজের ইনিংসটি সাজান ওয়ানডে শীর্ষ অল-রাউন্ডার।
কাইল মিলস ৩টি, ম্যাককেই, ভেট্টোরি ও রাইডার দুইটি করে উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ১৮২/৬ (৪৪ ওভার )-ইমরুল কায়েস ১৬ (৩২), শাহরিয়ার নাফিস ৩৫ (৩৮), রকিবুল হাসান ২১ (৪২), জুনায়েদ সিদ্দিক ৩০ (৫৬), মুশফিকুর রহিম ২২ (৩৯), মাহমুদউল্লাহ ৩ (৬), নাঈম ইসলাম ৯ (২১), সাকিব আল হাসান ৫৮ (৫১), আব্দুর রাজ্জাক ১ (৩), মাশরাফি বিন মুর্তজা ১৫ (১১)।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৮ ঘন্টা, অক্টোবার ০৪, ২০১০