ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

খেলা

ফুরফুরে মেজাজে তামিম

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১০
ফুরফুরে মেজাজে তামিম

ঢাকা: বাঁহাতের ম্যাটাকার্পালে অস্ত্রোপচারের জায়গায় ক্র্যাপ ব্যান্ডেজ পেচানো। তবুও মুখে একচিলতে হাসি লেগে আছে।

তামিম ইকবাল এখন অস্বস্তিতে ভোগেন না। হাড়ের ভাঙ্গা টুকরো অপসারণ করায় মাথা থেকে যন্ত্রণাও নেমে গেছে।

শরীর, মন দুটোই ফুরফুরে। হাতের পরিচর্যার কাজ শুরু হয়েছে অস্ট্রেলিয়া থেকেই। দেশে হবে বাকি শুশ্রƒষা। এক কথায় ক্রিকেটের বাইরে থেকেও ভালো আছেন তামিম ইকবাল। দেশের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজ খেলতে না পারায় কষ্ট হচ্ছে না। বরং সুন্দর ভবিষ্যতের আশায় ক্ষুদ্র ত্যাগের জন্য প্রস্তুত ছিলেন বলে জানান জাতীয় দলের ওপেনার। “একটি সিরিজে খেলতে না পারলে কি হবে। সুস্থ হলে তো সারাজীবন খেলতে পারবো। ”

চিকিৎসকদের ভাষায় ছয় সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকবেন তামিম। প্রথম চার সপ্তাহ কব্জির নিচের অংশে কার্যক্ষমতা বাড়াতে হবে। পেশিতে শক্তি ফিরে এলে ব্যাটিং নিয়ে কাজ শুরু করতে পারবেন। তামিমের বিশ্বাস,“অস্ত্রোপচারের পর থেকে প্রতিনিয়তই উন্নতি দেখতে পাচ্ছি। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চার সপ্তাহ পর ব্যাটিং করতে পারবো। এটা নির্ভর করছে আমার রিকভারির ওপর। যত তাড়াতাড়ি রিকভার করবো ততো ভালো। আমাদের এখানে ডক্তাররা আছেন। যেভাবে পরামর্শ দেবে সেভাবেই পরিচর্যা করতে হবে। ”

তামিমের হাতে অস্ত্রোপচার এবং পরিচর্যার বিষয়ে ধারণা নিতে অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)’র চিকিৎসক দেবাশিস চৌধুরী। অস্ট্রেলিয়ান তামিমের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক গ্রেগ হয়ের কাছ থেকে ধারণা নিয়ে এসেছেন দেবাশিস। বলছিলেন,“এই অস্ত্রোপচারের মূল উদ্দেশ্য ছিলো তামিমের হাতে হাড়ের যে ভাঙ্গা টুকরো ছিলো তা সরিয়ে ফেলা। না সরালে পরবর্তীতে বড়রকমের সমস্যা হতো। এখন অনেক ভালো মনে হচ্ছে। সে পুরো সুস্থ হবে বলেই আশা করি। তবে সামান্য ব্যথা থাকলেও খেলতে কোন সমস্যা হবে না। পেশাদার খেলোয়াড়দের কিছু ব্যথা থাকতেই পারে। ”

১৩ সেপ্টেম্বর তামিমের বাঁহাতে অস্ত্রোপচার হয়। এরমধ্যে প্রায় দুই সপ্তাহ হয়ে গেছে। তামিমের হাতে উন্নতি দেখতে পাচ্ছেন দেবাশিস। “ডাক্তারের সঙ্গে কথা হয়েছে উনি আশাবাদী। অপারেশন ভালো হয়েছে। এখন পুরো ব্যাপারটাই নির্ভর করছে পরিচর্যার ওপর। সব কিছু ঠিকভাবে চললে আশা করি সুস্থ হতে দুই মাসের মতো সময় লাগবে। ”

বিসিবির চিকিৎসকের মতে,“অস্ট্রেলিয়ান চিকিৎসক জানেন না দুই মাস পরে কি অবস্থা হবে। তিনি একটা গাইড লাইন দিয়েছেন। ওটা খুবই দরকার ছিলো। এর আগে কোন প্লেয়ার এমন অস্ত্রোপচারের পর খেলায় ফিরেছে এমন উদাহরণ আমাদের সামনে নেই। ওই গাইড লাইন নিয়ে আমরা এগোবো। ”

তামিমের হাতে অস্ত্রোপচার, ডাক্তার দেবাশিসের অস্ট্রেলিয়া সফর ভবিষ্যতের জন্যও সুবিধা করে দিয়েছে। অন্য খেলোয়াড়রা এই সমস্যায় কিছুটা হলেও চিকিৎসা দিতে পারবেন দেবাশিস।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘন্টা, সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।