বগুড়া: বগুড়া শহর যুবদলের নেতা রাহুল সরকারকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলার মূল আসামি আওয়ামী লীগ কর্মী জামিল হোসেনকে (৪৪) গ্রেপ্তার করেছে জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে শেরপুর উপজেলার কাশিয়াডাঙ্গা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বুধবার (১ অক্টোবর) ডিবি পুলিশের ইনচার্জ ইকবাল বাহার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেপ্তারকৃত জামিল হোসেন জেলার কাহালু উপজেলার পাল্লাপাড়া এলাকার আব্দুল মজিদ আকন্দের ছেলে। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি হেলাল উদ্দিন কবিরাজের ভাগিনা এবং আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী। তার নামে আরও তিনটি মামলা আদালতে বিচারাধীন।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে কাহালু উপজেলার মাগুরা গ্রামে বিরোধপূর্ণ পুকুরে মাছ ধরার সময় শহর যুবদল নেতা রাহুল সরকারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত রাহুল বগুড়া পৌরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও শহরের কৈগাড়ী এলাকার সোবহান সরকারের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, জামিল তার মামার দাপটে দীর্ঘদিন ধরে মাগুরা গ্রামে খাস পুকুর দখল করে মাছ চাষ করছিলেন। গত বছরের পাঁচ আগস্টের পর রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলে যুবদল নেতা রাহুল সরকার পুকুরটি ইজারা নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন। জামিল হোসেন ও তার লোকজন দাবি করে আসছিলেন, খাস পুকুরের সঙ্গে তাদের ব্যক্তিগত জমি রয়েছে। এনিয়ে রাহুলের সঙ্গে জামিল হোসেনের বিরোধ চলছিল। মঙ্গলবার দুপুরে রাহুল ওই পুকুরে বড়শি দিয়ে মাছ ধরার সময় গ্রামের কয়েকজন যুবকের সঙ্গে তর্কবিতর্ক হয়। একপর্যায়ে রাহুলকে তারা এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ডিবি পুলিশের ইনচার্জ ইকবাল বাহার জানান, হত্যাকাণ্ডের পর জামিল বগুড়া ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। তিনি প্রথমে শেরপুর উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে এক আত্মীয় বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেখান থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যাকাণ্ডে জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এসআই