শরীয়তপুর: শরীয়তপুরে পারিবারিক কলহের জেরে দ্বিতীয় স্ত্রী আলেয়া বেগমকে হত্যা করে লাশ মাটি চাপা দেওয়ার দায়ে ইলিয়াস শিকদার নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সেই সঙ্গে তাকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে শরীয়তপুর সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সোলায়মান এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জেরে ২০০৭ সালের ৩০ নভেম্বর জাজিরা উপজেলার সেনেরচর ইউনিয়নের করিম উদ্দিন মাদবর কান্দি গ্রামে দ্বিতীয় স্ত্রী আলেয়া বেগমকে নৃশংসভাবে হত্যা করেন ইলিয়াস শিকদার। হত্যার পর লাশ ঘরের বারান্দার নিচে মাটি চাপা দেন তিনি। পরদিন স্থানীয় গ্রাম পুলিশ হাচেন আলী বিষয়টি টের পেয়ে থানায় খবর দিলে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। এ ঘটনার তিন দিন পর ৩ ডিসেম্বর জাজিরা থানার সেই সময়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিজাম উদ্দিন বাদী হয়ে ইলিয়াসসহ তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
এ মামলায় মোট সাতজন সাক্ষীর সাক্ষ্য নেওয়ার পর সন্দোহাতীতভাবে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় এ সাজা দেওয়া হয় ইলিয়াসকে।
একই ঘটনায় স্ত্রীর লাশ গুমের অপরাধে ২০১ ধারায় ইলিয়াছকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও চার মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই মামলার অপর দুই আসামি রত্না বেগম ও সেকান্দার সিকদার নির্দোষ প্রমাণ হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। ঘটনার পর থেকে ইলিয়াছ (৬৩) পলাতক।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান খান দিপু এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এসআই