গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে শিউলী বেগম (৩৫) নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার পর লাশ কলাবাগানে ফেলে পালিয়ে যাওয়া স্বামী ফরিদ উদ্দীনকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ ভোরে দিনাজপুর জেলার ঘোড়াঘাট উপজেলার নাসিরাবাদ এলাকা থেকে ফরিদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও জানান, গৃহবধূ শিউলী হত্যার ঘটনায় নিহতের ভাই সোহেল রানা বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেছেন। সকালে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে উপজেলার কাটাবাড়ী ইউনিয়নের বাজারস্থ কাটাবাড়ী গ্রামের বাগদা বাজার এলাকায় এ হত্যার ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে রাতেই শিউলীর লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ।
শিউলী কাটাবাড়ী ইউনিয়নের বোগদহ সদর কলোনি এলাকার শরীফ মিয়া ড্রাইভারের মেয়ে। ঘাতক ফরিদ উদ্দীন একই এলাকার মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে।
শিউলী ফরিদের দ্বিতীয় স্ত্রী। এক যুগের দাম্পত্য জীবনে তাদের ৮ বছরের ছেলে সন্তান রয়েছে। এছাড়া ফরিদের প্রথম স্ত্রীর আরও দুটি সন্তান রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকেই নানা কারণে শিউলীকে নির্যাতন করতেন ফরিদ। শনিবার সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বাধে। একপর্যায়ে ফরিদ শিউলীকে মারধর করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে মরদেহ বাড়ির পাশে কলাবাগানে ফেলে রেখে পালিয়ে যান ফরিদ। প্রতিবেশীরা বিষয়টি দেখে পুলিশকে খবর দেন।
নিহত শিউলীর বাবা শরীফ মিয়ার অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই মেয়েকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছে ফরিদ। তারই ধারাবাহিকতায় আজ শিউলীকে গলা কেটে হত্যা করে লাশ ফেলে পালিয়েছে ফরিদ। তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
আরএ