ঢাকা, শনিবার, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২, ২৬ জুলাই ২০২৫, ০০ সফর ১৪৪৭

সারাদেশ

জোয়ারে প্লাবিত ভোলা উপকূল, পানিবন্দি হাজারো মানুষ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:৩৪, জুলাই ২৫, ২০২৫
জোয়ারে প্লাবিত ভোলা উপকূল, পানিবন্দি হাজারো মানুষ জোয়ারে প্লাবিত ভোলা উপকূল

ভোলা: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ও অমাবস্যার প্রভাবে মেঘনার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ভোলার উপকূলীয় বিস্তীর্ণ জনপদ প্লাবিত হয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে বাঁধের বাইরের অন্তত ২০টি গ্রাম।

এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। এছাড়া জোয়ারের পানিতে ভোলা-লক্ষ্মীপুর রুটের ফেরিঘাট তলিয়ে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।

অতিরিক্ত জোয়ারের পানিতে উপকূলের রাস্তাঘাট, বসতঘর, আঙিনা, রান্নাঘর ও মাছের ঘের পানিতে ডুবে গেছে। কোথাও হাঁটু পানি, কোথাও বা কোমর সমান পানি জমে রয়েছে।

ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ও ইলিশা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে ঘুরে দেখা গেছে—ঘরের ভেতর ও আশপাশে পানি প্রবেশ করায় চুলা জ্বালানোও সম্ভব হয়নি অনেকের। এতে দুর্যোগকবলিত এলাকায় মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে।

পানিবন্দি আমেনা ও রোকসানা বেগম বলেন, সকাল থেকে বৃষ্টি আর বাতাস হচ্ছিল। দুপুরে নদীতে প্রচণ্ড ঢেউ দেখা দেয়। এরপর হঠাৎ করে জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। সবাই গৃহবন্দি হয়ে পড়েছি। চরম দুর্ভোগে আছি।

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান জানান, মেঘনার পানি তজুমদ্দিন পয়েন্টে ১৪৭ সেন্টিমিটার এবং দৌলতখান পয়েন্টে ৭৪ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হয়েছে, যা এ মৌসুমে সর্বোচ্চ। ফলে বাঁধের বাইরের কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তবে পানি নামলেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভোলা সদর, চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলার বাঁধের বাইরের গ্রামগুলো সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে।

এসআরএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।