চলতি মৌসুমে উপকূলীয় জেলা ভোলায় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হয়েছে। গত ছয় দিনে এ জেলায় ৩৮০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
ছয়দিনের টানা বর্ষণে উপকূলীয় এলাকায় তলিয়ে গেছে বাঁধের বাইরের নিচু এলাকা। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ২০ গ্রামের মানুষ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চরফ্যাশন উপজেলার হাজারিগঞ্জ, জাহানপুর, কলমিসহ অন্তত ১০টি গ্রাম। বৃষ্টির পানিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন হাজারো মানুষ।
জানা গেছে, ভারী বর্ষণের ফলে জেলার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। রিকশাচালক, দিনমজুর এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা কাজ না থাকায় অলস সময় পার করছেন। জলাবদ্ধতার কারণে অনেক এলাকায় মানুষ ঘর থেকেও বের হতে পারছেন না।
উপকূলীয় এলাকায় বাঁধের বাইরে নিচু এলাকার মানুষের দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। পানিতে ভেসে গেছে পুকুর ও মাছের ঘের। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন উপকূলের মানুষ।
এদিকে বৈরী আবহাওয়ার কারণে চতুর্থদিনের মতো বন্ধ রয়েছে অভ্যন্তরীণ রুটের লঞ্চ চলাচল।
বিআইডব্লিউটিএ সহকারী পরিচালক মো. রিয়াদ হোসেন বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ভোলা-লক্ষ্মীপুর, চরফ্যাশন-মনপুরা, তজুমদ্দিন-মনপুরা, দৌলতখান-আলেকজেন্ডার রুটসহ বেশ কয়েকটি রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে। এতে জরুরি প্রয়োজনে যাতায়াতকারী যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
অপরদিকে ভারী বর্ষণ এবং নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে উপকূলের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন শত শত পরিবার।
ভোলা আবহাওয়া অফিসের পর্যবেক্ষক মনির হোসেন বলেন, ভোলায় এ মৌসুমে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সখ্যক বৃষ্টিপাত হয়েছে। মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় বৃষ্টিপাত বাড়ছে, দু'একদিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে।
আরএ