পটুয়াখালী: জেলার রাঙ্গাবালীতে গভীররাতে সাবমেরিন ক্যাবল কেটে দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় স্থানীয়দের তৎপরতায় দুজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ক্যাবল কাটায় বিদ্যুৎ না থাকায় উপজেলার চারটি ইউনিয়নের অন্তত ২৫ হাজারের বেশি গ্রাহক চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
শনিবার (২৮ জুন) গভীর রাতে রাঙ্গাবালীর গহিনখালী এলাকার বুড়াগৌরাঙ্গ নদীর তলদেশে থাকা সাবমেরিন ক্যাবলের দুটি গুরুত্বপূর্ণ ফেইজ কেটে ফেলা হয়। ফলে রাঙ্গাবালী সদর, ছোটবাইশদিয়া, বড়বাইশদিয়া এবং মৌডুবি ইউনিয়নে হঠাৎ করে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির রাঙ্গাবালী সাব-জোনাল অফিসের এজিএম প্রকৌশলী কাওসার আহম্মেদ জানান, নদীর তলদেশ দিয়ে ভোলা থেকে আসা ক্যাবলটির তিনটি ফেইজের মধ্যে দুটি একযোগে কেটে ফেলা হয়েছে, যার একটি ছিল সচল ও অপরটি ব্যাকআপ। ফলে পুরো সংযোগ অচল হয়ে যায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সন্ধ্যায় গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি এলাকা থেকে একটি ট্রলারে রওনা দেয় ছয়জনের একটি চক্র। রাত ৮টার দিকে গহিনখালী এলাকায় পৌঁছে ক্যাবল কাটা শুরু করেন তারা। বিকট শব্দে বিস্ফোরণের মতো আওয়াজ শুনে স্থানীয়রা ছুটে গেলে চারজন পালিয়ে যান আর দুজন ধরা পড়েন।
আটক দুজন হলেন গলাচিপা উপজেলার জসিম মৃধা (৩৫) ও রাঙ্গাবালীর জুয়েল মৃধা (২৫)। সম্পর্কে তারা চাচাতো ভাই।
পুলিশ জানায়, আটক দুজন জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, ভোলা থেকে আসা চারজন তাদের ট্রলার ভাড়া নিয়েছিলেন এবং প্রায় তিন লাখ টাকার যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে সাবমেরিন ক্যাবল কাটার প্রস্তুতি নেন।
রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমারৎ হোসেন বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পলাতকদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
এদিকে বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত ক্যাবল দ্রুত মেরামতের কাজ শুরু করা হয়েছে। সোমবার রাতের মধ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় চালুর চেষ্টা চলছে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (অতিরিক্ত দায়িত্বে) আবুল কাশেম বলেন, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য একটি বিশেষ টিম আসছে।
এসআই