ঢাকা, শুক্রবার, ৬ আষাঢ় ১৪৩২, ২০ জুন ২০২৫, ২৩ জিলহজ ১৪৪৬

সারাদেশ

কালভার্ট নির্মাণে ধীরগতি, ৫ মিনিটের পথ যেতে ১ ঘণ্টা!

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:১৩, জুন ২০, ২০২৫
কালভার্ট নির্মাণে ধীরগতি, ৫ মিনিটের পথ যেতে ১ ঘণ্টা! কালভার্ট নির্মাণ কাজের কারণে তীব্র যানজট

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট পৌরসভার উত্তরবাজার এলাকায় ঢাকা-সিলেট পুরাতন মহাসড়কে ক্ষতিগ্রস্ত একটি কালভার্ট ভেঙে নতুন কালভার্ট নির্মাণের কাজ চলছে। তবে দেড় মাসের বেশি সময় ধরে কাজের ধীরগতির কারণে ওই এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ যানজট।

ফলে পাঁচ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে সময় লাগছে প্রায় এক ঘণ্টা।

সরেজমিনে দেখা যায়, রাস্তার দুই পাশে বাস, ট্রাক, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও মোটরসাইকেলের দীর্ঘ সারি আটকে রয়েছে। ফলে এলাকাবাসীর জীবনযাত্রায় নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, উপজেলা পরিষদ, বাজারসহ বিভিন্ন জরুরি স্থানে পৌঁছানোও এখন কঠিন হয়ে পড়েছে।

শুক্রবার (২০ জুন) দুপুরে ও আগের দিন বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সরেজমিনে গেলে একই চিত্র দেখা যায়।

এ সময় সিলেট থেকে পণ্যবাহী কাভার্ডভ্যান চালক আলী হোসেন বলেন, ২০ মিনিট ধরে যানজটে আটকে আছি। কোম্পানির পণ্য সময়মতো দোকানে পৌঁছাতে পারছি না। চরম ভোগান্তিতে পড়েছি।

অটোরিকশাচালক ইমান আলী বলেন, সকাল থেকেই জ্যাম লেগে থাকে। প্রসব বেদনায় আক্রান্ত রোগী নিয়ে আটকে পড়েছিলাম। পরে উপায়ন্তর না পেয়ে ঘুরে অন্যপথে যেতে হয়েছে। ডাইভারশন (বিকল্প সড়ক) না থাকায় এই ভোগান্তি।

জ্যামে বসে গান শুনছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আসা কাভার্ডভ্যান চালক শ্রাবণ। তিনি বলেন, ৪০ মিনিট ধরে মালামাল নিয়ে একই জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি। নতুন কালভার্ট নির্মাণ কাজের কারণে এমনই জ্যাম লেগেছে যে গাড়িগুলো সামনে এগোচ্ছেই না।

ঘটনাস্থলে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্য শাহাদাত হোসেন বলেন, কালভার্ট নির্মাণে পাশের নতুন মাটির রাস্তা দিয়ে যান চলাচল হচ্ছে। তবে নরম মাটি দেবে গিয়ে যানবাহন আটকে পড়ছে, ফলে দীর্ঘ যানজটের তৈরি হচ্ছে।

এদিকে টানা দুদিন ঘটনাস্থলে গিয়ে এসব ব্যাপারে কথা বলতে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের কোনো কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি।  

পরে মোবাইলফোনের মাধ্যমে কল করে যোগাযোগ করা হলে সওজের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মুরাদ হোসেন বলেন, প্রায় ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দুটি কালভার্ট নির্মাণের পাশাপাশি মাটির বিকল্প রাস্তা করা হয়েছে। তবে মাঝে মধ্যে ভারী ট্রাক আটকে গিয়ে যানজট সৃষ্টি করছে। আশা করছি, আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে।

এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।