টাঙ্গাইল: ‘ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনার জন্য কোনো বাহিনীর কাউকেই দেখতে পাইনি! রাস্তার চরম অব্যবস্থাপনায় অবশেষে ১০ ঘণ্টা পার করে যমুনা সেতুর টোল দেওয়া সম্ভব হলো। টোল প্লাজা পার হয়ে সেতুর মুখে আড়াআড়িভাবে দুটো ছোট ট্রাক নষ্ট হয়ে আছে।
তার মতো এমন অসংখ্য কর্মজীবী মানুষ ঈদ উদযাপন শেষে গাইবান্ধা থেকে ঢাকায় ফিরছেন ভোগান্তি নিয়ে। যানজটে পড়ে তাদেরও নাকাল অবস্থা। অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ১৩ কিলোমিটার সড়কে ধীরগতি ও কোথাও কোথাও যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ জুন) দিনগত রাতে যমুনা সেতুর টোলপ্লাজা থেকে টাঙ্গাইলের বিক্রমহাটি পর্যন্ত যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে সকাল ১০টার পর সেটি স্বাভাবিক হয়। বর্তমানে এলেঙ্গা থেকে সেতুর পূর্ব পর্যন্ত পরিবহনের ধীরগতি রয়েছে। এতে মানুষের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এতে বিশেষ করে নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের খুব কষ্ট হচ্ছে।
জানা গেছে, ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে মহাসড়ক ব্যবহারকারীদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। মহাসড়কে গণপরিবহনের সংকট থাকায় বাড়তি ভাড়া দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ট্রাক ও পিকআপ ভ্যানে গন্তব্যে যাচ্ছে।
যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ ও যমুনা সেতু পূর্ব থানা পুলিশ জানায়, শুক্রবার (১৩ জুন) মধ্যরাতে মহাসড়কের সেতু পূর্ব থানা এলাকা, যমুনা সেতুর ওপর পর পর বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। এছাড়া ৪ থেকে ৫টি যানবাহন বিকল হয়। এতে সেতুতে কয়েক দফায় টোল আদায় বন্ধ রাখা হয়।
মহাসড়ক ব্যবহারকারীরা বলছেন, এক ঘণ্টার সড়ক যেতে সময় লাগছে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা। এতে ভ্যাপসা গরমে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে তাদের। অনেকেই যমুনা সেতু পার হয়েছেন পাঁচ ঘণ্টায়।
যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল জানান, ভোরের দিকে সেতুর ওপরে পরপর চারটি দুর্ঘটনা ঘটে। এগুলো সরাতে যে, সময় টুকু লেগেছে এর মধ্যে সেতুর দুই পাশে যানবাহনের জটলা বেধেছিল। দুর্ঘটনা কবলিত পরিবহনগুলো সরাতে সময় লেগেছিল এতে মহাসড়কের দুই পাশে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া কয়েক ধাপে যমুনা সেতুতে টোল আদায় বন্ধ রাখা হয়েছিল।
যমুনা সেতু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়েজ আহমেদ জানান, বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে যমুনা সেতুর ওপর পিকআপ ভ্যান ও ট্রাকের সংঘর্ষে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ জন্য মহাসড়কে প্রায় ২০ কিলোমিটার ধীরগতি রয়েছে।
আরআইএস