পঞ্চগড়: পঞ্চগড় সীমান্ত দিয়ে তিন দফা পুশ-ইনের পর আবার নারী, পুরুষ, শিশুসহ সাতজনকে পুশ-ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে পঞ্চগড় উপজেলার অমরখানা ইউনিয়নের গোলাবাড়ি সীমান্তের মেইন পিলার ৭৪৩ এর ১ নম্বর সাব পিলার এলাকা দিয়ে তাদের বাংলাদেশে পুশ-ইন করে বিএসএফের ৪৬ ব্যাটালিয়নের বালাচান ক্যাম্পের একটি দল।
ভোরে তারা গোলাবাড়ি ঘোরাফেরা করলে নীলফামারী-৫৬ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ব্যাটালিয়নের অমরখানা বিজিবি ক্যাম্পের টহল দল তাদের আটক করে।
তারা হলেন- নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার পেরলি ইউনিয়নের জামরিল ডাঙ্গা গ্রামের আফসার শেখের ছেলে আরিফুল শেখ (৩১), তার বড় ছেলে ইমরান শেখ (১১), ছোট ছেলে রায়হান শেখ (৭), উপজেলার একই এলাকার মজিবুর রহমান মোল্লার মেয়ে রহিমা বেগম (৩০), সিদ্দিক মোল্লার মেয়ে খাদিজা বেগম (৩৬), উপজেলার বিস্টুপুর এলাকার আইনাল বিশ্বাসের ছেলে আল মামুন বিশ্বাস (৩০), যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার জয়েরা এলাকার তাহাজ্জুত খানের মেয়ে নাজমিন আক্তার (৪০)।
বিজিবির জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা বাংলাদেশি নাগরিক। বাংলাদেশের নড়াইল ও যশোর এলাকায় তাদের বাড়ি। আটক সবাইকে পঞ্চগড় সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে তাদের পঞ্চগড় সদর ইউনিয়ন পরিষদে নিরাপদ আশ্রয়ে রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছি পুলিশ ও বিজিবি।
এর আগে তিন দফায় ৫৮ জনকে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে পুশ করার পর নতুন করে চতুর্থ দফায় এ সাতজনকে পুশ-ইন করল বিএসএফ।
এ বিষয়ে নীলফামারীর ৫৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ বদরুদ্দোজা বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের টহল দল সীমান্ত এলাকা থেকে ভারত থেকে পুশ-ইন করা সাতজনকে আটক করেছে। তারা ভারতে বিভিন্ন কাজ করে আসছিলেন। গত তিনমাস আগে তাদের ভারতীয় পুলিশ আটক করে জেলহাজতে রাখে। পরে তাদের পঞ্চগড় সীমান্তে এনে শুক্রবার ভোরে বাংলাদেশে পুশ-ইন করে।
তিনি আরও জানান, পুশ-ইনে বিএসএফ কোনো সীমান্ত আইন না মানায় বিজিবির পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে সীমান্ত এলাকায় বিজিবি কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি, সেকেন্ড অফিসার) মো. কাইয়ুম আলী বাংলানিউজকে বলেন, পুশ-ইনের ঘটনায় বিজিবি সাতজনকে আটক করে জিডি করে থানায় হস্তান্তর করেছে। এরপর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে পুলিশ ও গ্রাম পুলিশের সদস্যদের সহায়তায় তাদের নিরাপদ আশ্রয় নিশ্চিত করতে পঞ্চগড় সদর ইউনিয়ন পরিষদে রাখা হয়েছে।
এসআই