ঢাকা, সোমবার, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৯ জুন ২০২৫, ১২ জিলহজ ১৪৪৬

সারাদেশ

সৈয়দপুরে গরুর চামড়া ৩০০, ছাগলের ৫০ টাকা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯:১৮, জুন ৮, ২০২৫
সৈয়দপুরে গরুর চামড়া ৩০০, ছাগলের ৫০ টাকা

ঢাকার ট্যানারি মালিক ও আড়তদারদের কাছে নীলফামারীর সৈয়দপুরের চামড়া ব্যবসায়ীদের প্রায় ১ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে। পাওনা টাকা না পাওয়ায় পুঁজির সংকটে পড়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

ফলে এবারের কোরবানির মৌসুমে চামড়া কেনার যথাযথ প্রস্তুতি নিতে পারেননি তারা। এ সুযোগে মৌসুমি ব্যবসায়ীরা প্রতিটি গরুর চামড়া মাত্র ৩০০–৪০০ টাকা ও খাসির চামড়া ৫০–৬০ টাকা দরে কিনেছেন।

স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে পাওনা টাকা চেয়ে বারবার তাগিদ দিয়েও ঢাকার ট্যানারি মালিক ও আড়তদারদের কাছ থেকে কোনো সাড়া পাননি তারা। এতে তারা চরম আর্থিক সংকটে পড়েছেন, যে কারণে তাদের পক্ষে চামড়া কেনা কার্যত অসম্ভব হয়ে উঠেছে।

বর্তমানে সৈয়দপুরের স্থানীয় বাজারে গরুর চামড়া আকারভেদে ৪০০-৫০০ টাকা ও ছাগলের চামড়া ৮০-১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে এসব চামড়া নাটোর জেলার আড়তগুলোতে বাকিতে বিক্রি করতে হচ্ছে, ফলে নগদ অর্থের সঞ্চালন ঘটছে না।

এক সময় সৈয়দপুরে শতাধিক ব্যবসায়ী চামড়া ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কিন্তু দীর্ঘদিনের পাওনা টাকা না পেয়ে পুঁজি হারিয়ে অনেকেই এই ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন। বর্তমানে মাত্র সাত–আটজন ব্যবসায়ী টিকে রয়েছেন, তারাও পুঁজি আটকে যাওয়ায় অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছেন।

ট্যানারি মালিক ও আড়তদাররা বিদেশে চামড়া রপ্তানি বন্ধ থাকার অজুহাত দেখিয়ে পাওনা পরিশোধ করছেন না বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।

সৈয়দপুর শহরের গোলাহাট এলাকার চামড়া ব্যবসায়ী মো. মমতাজ বলেন, ঢাকার পোস্তগোলা আড়তে আমার ৩০ লাখ টাকা আটকে আছে। দুই বছর ধরে চেষ্টা করেও টাকা পাইনি। এ অবস্থায় নিজ পুঁজিতে চামড়া কেনা সম্ভব নয়। আড়তদাররাও পুঁজি দেননি, তাই অনেকেই চামড়া কেনেননি।

সৈয়দপুর চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও মেসার্স আল-আমিন ট্রেডার্সের মালিক আজিজুল হক জানান, ঢাকার ট্যানারি মালিক ও আড়তদারদের কাছে সৈয়দপুরের ব্যবসায়ীদের ১ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। আমার নিজের ২০ লাখ টাকা আটকে আছে। দীর্ঘদিনেও সেই টাকা পরিশোধ করা হয়নি। টাকা চাইলে তারা বলেন, বিদেশে চামড়া বিক্রি নেই, তাই দিতে পারছি না।

তিনি আরও বলেন, আমরা যদি চামড়া না কিনি, তাহলে এর দরপতন ঘটবে এবং বিক্রেতারাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন।

এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।