চলন্ত ট্রেনে ঝুলছেন এক ব্যক্তি। অপরদিকে ট্রেনের ভেতর থেকে কেউ তার হাত ধরে রেখেছেন।
এই ভাইরাল ভিডিওটি সর্বত্র আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল রোববার দুপুর ১টার দিকে বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার নসরতপুর রেলস্টেশন এলাকায়।
জানা যায়, ‘চোর’ আখ্যা দেওয়া সেই ব্যক্তির নাম মতিউর রহমান। তিনি নওগাঁর রানীনগর উপজেলার পাড়ইল গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি গুরুতর আহত অবস্থায় বগুড়ায় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয়রা জানান, মতিউর রহমান বিদেশে লোক পাঠানোর কাজ করেন। তার মাধ্যমে দুই বছর আগে সজীব নামে এক যুবক সৌদি আরবে যান। কিন্তু সৌদি আরবে যাওয়ার পর কাগজপত্রে সমস্যা থাকায় আকামা (কাজের সুপারিশ সনদ) না পাওয়ায় সজীবের পরিবারের সঙ্গে মতিউর রহমানের বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধের জেরে সজীবের নির্দেশে কয়েকজন যুবক গতকাল মতিউর রহমানকে চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেন। সজীবের বাড়ি বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার তালসন গ্রামে।
মতিউর রহমানের ছেলে আহসান হাবিব বলেন, ‘বাবা গতকাল দুপুরে বগুড়া থেকে দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস নামের একটি ট্রেনে সান্তাহারে আসছিলেন। পথে নসরতপুর রেলস্টেশনে আসার আগে বাবার কামরায় থাকা কয়েকজন যুবক বাবাকে মারধর করতে শুরু করেন। একপর্যায়ে চলন্ত ট্রেনের দরজা দিয়ে তারা বাবাকে নিচে ফেলে দেন। এসময় একজন তার হাত ধরে রাখেন। কিন্তু কিছুদূর যাওয়ার পরে তিনি ট্রেন থেকে রেললাইনে পড়ে যান। তবে ট্রেনের চাকায় তিনি কাটা না পড়লেও আঘাত লেগে বাবার একটা পা ভেঙে গেছে।
এরপর স্থানীয়রা বাবাকে উদ্ধার করে প্রথমে আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া নেওয়া হয়।
আরএ