খুলনা: খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনের জালিয়াতিপূর্ণ ঘোষিত ফলাফল বাতিল করে হাতপাখার প্রার্থী হাফেজ মাওলানা অধ্যক্ষ আব্দুল আউয়ালকে বিজয়ী দেখানোর দাবি জানানো হয়েছে। ২০২৩ সালের ১২ জুন খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
এ বিষয়ে আর্জি জানিয়ে রোববার (১৮ মে) দুপুরে খুলনা যুগ্ম জেলা জজ ১ম বিচারক মো. খোরশেদ আলমের আদালত ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করা হয়েছে।
খুলনা সিটি নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হাফেজ মাওলানা অধ্যক্ষ আব্দুল আউয়াল বাদী হয়ে করা মামলার আর্জিতে বলা হয়, হামলা-মামলার মধ্যে দিয়ে ওই নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করা হয় এবং বুথ থেকে হাতপাখার এজেন্টদের মারধর করে বের করে দেওয়া হয়। সারাদিন আতঙ্ক সৃষ্টির মাধ্যমে জালিয়াতি করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮২৫ ভোট দেখিয়ে বিজয়ী ঘোষণা করা হয় এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থীকে ৬০ হাজার ৬৪ ভোট দেখিয়ে দ্বিতীয় দেখানো হয়। প্রকৃত পক্ষে শান্তিপূর্ণভাবে জনতা ভোট দিতে পারলে হাতপাখার প্রার্থী বিপুল ভোটে বিজয়ী হতো।
জনতার সঙ্গে করা এমন জালিয়াতির প্রতিকার চেয়ে সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিধিমালা ২০২১ এর ৯১ বিধির বিধানের অধীনে আব্দুল খালেকের ফলাফল বাতিল করে প্রকৃত বিজয়ীকে জয়ী ঘোষণার আর্জি জানানো হয়।
আদালত এ বিষয়ে আগামী ২৮ মে শুনানির দিন ধার্য করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির, মেয়র প্রার্থী হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সভাপতি মুফতি আমানুল্লাহ, সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ মো. নাসির উদ্দিন, সহ-সভাপতি আলহাজ্ব আবু তাহের, সেক্রেটারি মুফতি ইমরান হোসাইন, জয়েন্ট সেক্রেটারি মাওলানা দ্বীন ইসলাম, প্রচার ও দওয়া বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম কাবির, মো. ফেরদৌস গাজী সুমন, মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন বন্দ, মোহাম্মদ বাদশা খান, নুরুজ্জামান বাবুল, মো. মমিনুল ইসলাম নাসিব, মোল্লা রবিউল ইসলাম তুষার, মেহেদী হাসান সৈকত, মাওলানা নাসিম উদ্দিন, মো. সজিব, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের মহানগর সভাপতি মো. আবুল কালাম আজাদ, ইসলামী যুব আন্দোলন মহানগর সভাপতি আব্দুর রশিদ, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ খুলনা মহানগর সভাপতি মাহদী হাসান মুন্না, হাবিবুল্লাহ মেজবাহ ও আমিনুর ইসলাম।
এমআরএম/জেএইচ