ফ্রাংকফুর্ট: সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনির নির্মম হত্যাকাণ্ডের সঠিক তদন্ত ও বিচার না হলে গোটা ইউরোপে দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রচারণা ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের পার্লামেন্টে অভিযোগ করা হবে।
গত শনিবার জার্মানির ফ্রাংকফুর্ট শহরে এক প্রতিবাদ সভায় এ কথা জানান বক্তারা।
সভায় ফ্রাংকফুর্টে অবস্থানরত হানিবুল্লাহ বাবুল বলেন, ‘প্রয়োজনে আমরা ইউরোপীয় পার্লামেন্টে যাবো। এ নিয়ে প্রচারণা করা হবে। আমাদেরই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ‘
তিনি বলেন, ‘যারা দেশে আছেন তাদের অনেকের পক্ষেই কথা বলা সম্ভব না। দেশ অন্ধকারের দিকে যাত্রা করেছে। এ থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে। আমরা যারা দেশের বাইরে আছি তাদেরই উদ্যোগ নিতে হবে। যতটুকু শক্তি প্রয়োগ করা যায়, করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে মানবাধিকার সংগঠন, জার্মান পার্লামেন্টারি কমিটিসহ বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।
সাংবাদিকদের ওপর হামলা নতুন না। অনেক সাংবাদিক হত্যার বিচার আমরা দেখিনি। এরপর আর কোনও সাংবাদিক ঝুঁকি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করবেন না।
পুলিশ সম্পর্কে হাবিবুল্লাহ বলেন, ‘পুলিশ মুচকি হেসে বলেছিলেন, মোটিভের কাছাকাছি চলে আসছি। ওই হাসি দিয়ে আমাদের অনেক মেসেজ দিয়েছেন। পুলিশকে যেভাবে বলা হয়। সেভাবেই কাজ করে।
হ্যানোভার থেকে আসা লিপি আহমেদ বলেন, বেদনা আরো বেড়ে যায়। যখন এটিকে ধামাচাপা দেওয়া হয়। আমাদের এক হয়ে সরকারকে বাধ্য করতে হবে।
তিনি বলেন, সামাজিক মাধ্যমে এত লিখা হলো। এখন আস্তে আস্তে কমে গেছে। আমরা আবার কেন জ্বলে ওঠি না? আমরা কেন ভয় পাবো। এটি চেপে রাখার কোনও সুযোগ দেওয়া উচিত না। হত্যার কারণ একটিই হয়। অনেকগুলো হয় না।
তিনি জানান, জার্মানিস্থ বাংলাদেশ ফোরামের সাম্প্রতিক এক বৈঠকে জার্মানি সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারকে চাপ দেওয়ার জন্য অুনরোধ জানানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শুধু সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি নয়, দেশে এ যাবতকালে সব সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও বিচারের বিষয়টি তুলে ধরা হবে।
সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে পিন্টু সারওয়ার বলেন, খুব খুশি হয়েছিলাম ৪৮ ঘণ্টার আশার বাণী শুনে। এরপরই শুনলাম ‘কারও বেডরুম পাহাড়া দেওয়া সরকারের পক্ষে সম্ভব নয়’। তখন থেকে কষ্ট রোষে পরিণত হয়েছে।
তিনি বলেন, আমি আশাবাদী এ হত্যার বিচার হবেই। সাংবাদিকরা এক হয়েছে। এটি ইতিবাচক দিক। লন্ডন, প্যারিস, নিউইয়র্কের সব প্রবাসী বাঙালি এক হয়েছে।
প্রতিবাদ সভার শুরুতে সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনির জীবনী ও কর্ম জীবনের ওপর তথ্যচিত্র উপস্থাপন করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৮৪০ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০১২