ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

প্রবাসে বাংলাদেশ

স্মৃতির ভাণ্ডার উন্মুক্ত করা জয়দেবপুরের সেই পিকনিক

সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ, ইউকে থেকে | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১২
স্মৃতির ভাণ্ডার উন্মুক্ত করা জয়দেবপুরের সেই পিকনিক

সম্প্রতি হয়ে গেলো প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী লোক প্রশাসন বিভাগের, ৮৫-৮৭ ব্যাচের বহু প্রতিক্ষীত এবং বহু কাংখিত পিকনিক আড্ডা ২০১২। গত ত্রিশটি বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালীন ১০টি বছর, এরপর পাশ করার পরে বিশ বছর কিভাবে চলে যে গেলো? যেসব স্মৃতি অতি যত্নের সাথে হাজারো কর্মব্যস্ততার মাঝেও বুকে সযত্নে লালন করে আসছি, বহু সুখ-দুঃখ আর নানান ঘটনা-রটনার সেইসব স্মৃতি।



দেশ থেকে বহুদূর-দূরান্তে জীবন কাটানো আমাদের মতো অনাবাসী বাংলাদেশিদের স্মৃতির পাতাকে প্রাণের ছোঁয়া দিয়ে জানান দিয়ে দিলো প্রিয় বন্ধু খালেদ, মামুন (২), এলেন, জুয়েল, লিটন(২), নাসরীন, লুনা, শিউলীমালাদের এক ঝলক কর্ম চঞ্চল আর প্রাণবন্ত অকৃত্রিম উদার চেষ্টার ফসল এই পিকনিক আড্ডা ২০১২।

গত শুক্রবার ৩রা ফেব্রুয়ারি ২০১২, ঢাকা থেকে একটু দূরে জয়দেবপুরের শান্ত, নিরিবিলি পিকনিক স্পটে, যার সিংভাগ কৃতিত্বের দাবীদার প্রিয় বন্ধু খালেদ, ক্যাডেট মামুন। এদের অক্লান্ত প্রচেষ্টার ফলে এবং নাসরীন ও লুনার উৎসাহে বিশ বছর ধরে যারা হারিয়ে যেতে বসেছিলো কিংবা কে কোথায় যে লুকিয়ে ছিলো অথবা জীবন যুদ্ধে কে কোথায় যে গলদঘর্ম হয়ে দিনাতিপাত করছিলো, প্রিয় সেই মুখগুলো একে অন্যকে প্রায় ভুলতেই বসেছিল। তাদের সবাইকে একত্র করেছিলো সেদিন শুক্রবার ঢাকার অদূরে জয়দেবপুরের পিকনিক স্পটে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বপ্নময়, রঙ্গীন সেইসব দিনগুলো থেকে বের হয়ে নাড়ীর টানে, কর্মময় ব্যস্ততা আর পারিবারিক ও সামাজিক দায়বতদ্ধতায় পড়ে প্রিয় মুখগুলো যেন বিস্মৃতির অতল গহবরে হারিয়ে যেতেই বসেছিলো, সেখান থেকে হঠাৎ করে একরাশ আলোর ঝলকানি দিয়ে সবাইকে যেন টেনে তুললো নাসরীন, খালেদ, মামুন- এ যেন সিন্ডারেলার সেই বাঁশীওয়ালা! সত্যি কী বিচিত্র এই পৃথিবী এবং এর পরিবেশ!

জীবনের প্রয়োজনে আমরা যারা বিদেশ বিভূঁইয়ে পড়ে আছি, দেশের জন্য তাদের মায়া, মমতা, কান্না প্রতিনিয়ত মননে-মগজে-হৃদয়ে লালন করে বয়ে চলেছি। আমার বিশ্বাস প্রতিটি দেশপ্রেমিক প্রবাসীর এটাই মনের কথা।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আমার প্রাণের ছোঁয়া,আমার সকল গর্ব, সব অহংকার, আমাকে দিয়েছে বাঁচার স্বপ্ন, দিয়েছে প্রতিষ্ঠা-প্রতিপত্তি, দিয়েছে মুক্ত চিন্তা-চেতনার ধারণ, লালন আর প্রকাশের ভঙ্গি আর ক্ষেত্র। একই সঙ্গে খুলে দিয়েছে আমার সামনে সারা পৃথিবীর দুয়ার।

এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার কেটেছে যৌবনের দশ-দশটি বছর, রয়েছে নানা বিচিত্র সুখময় স্মৃতি, যা এই অল্প পরিসরে বয়ান বা উল্লেখ করে শেষ করার মতো নয়। স্মৃতিময় সেইসব ঘটনার কথা মনে হতেই মনে পড়লো বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম যাই সেদিনকার কথা। ভর্তি ফর্ম জমা দেওয়ার জন্য সে কি কষ্ট, কেঊ কাউকে চিনি না, অথচ মনে হয় যেন কতো আপনজন, অনেক আগে থেকেই চেনা। প্রথম লাইনে ধাক্কাধাক্কির সুবাদে পরিচয় আজকের অড়লান্ডো প্রবাসী প্রিয় বন্ধু আনিসের সঙ্গে, আর সেই সূত্র ধরে ফায়সাল, সিরাজদ্দৌলা, রাজনীতির যুবরাজ তারেক রহমান, সেখান থেকে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এসে দেখা মিললো প্রিয় বন্ধু খালেদ, আজকের সাংসদ প্রিন্স, মাহমুদ ভুল্লা, দৈনিক জনতার সুবাদে জিন্নাহ, পরিমল, আমার বন্ধু গৌতম, সিরাজদী’র(ইংরেজী বিভাগের)।

আর প্রথম ক্লাসেই ড. নাজমুন নেসা মাহতাবের লেকচারের মধ্যদিয়ে শুরু হলো সেদিনকার আমাদের এই প্রাণের যাত্রা, যা একাধারে বাড়তে বাড়তে মামুন, মাসুদ, শহীদুল, কবির, শরীফুল, শিলা, বিভা, সীমা, মণি, রোকসানা, মনন, জুয়েল, তুলতুল, স্বর্ণা, মিথু, আরেফিন, মিঠু,কণা, শিল্পী, লতা, দিপিকা, রুমু, সালাহউদ্দীন, রাশেদ (২), দবিরমামা, রুহুল, কানু, আলমগীর, আমিনুর, মিন্টু, প্রিয় বন্ধু সারা আজিজ লিপি, সায়মা-রাশেদ, লিটন, শরীফ, নুরুসহ বন্ধুর লিস্ট শুধুই বাড়তেই থাকে।

আজ বড় কষ্টের সঙ্গে মনে পড়ে বন্ধু রুহুল এবং প্রিয় বন্ধু মাসুদের কথা, যারা ছিলো আমাদের আড্ডার মধ্যমণি। রুহুল দুরারোগ্য ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে অকালেই আমাদের ছেড়ে পরপারে চলে যায়, আর বিশ্ববিদ্যালয়ের একসময়ের সেরা ক্রিকেট প্লেয়ার মাসুদ কোথায় যে হঠাৎ হারিয়ে গেলো, তার পরিবারসহ অনেক খোঁজাখুজির পরেও কোথায়ও আজ অবধি তার কোনও হদিস মিলেনি। বুকের মাঝে এক রাশ কষ্ট নিয়ে প্রতিনিয়ত রুহুল-মাসুদের স্মৃতি নিয়ে চলছি, এ যে কতো কষ্টের, তা কী করে বোঝাই বলুন?

বিভাগের প্রথম নবীন বরণ অনুষ্ঠানে টিএসসির আলো-আঁধারীর সেই মঞ্চে নতুন করে দেখা মিললো লিপি, লুনা, মামুনের (ক্যাডেট)। অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জানলাম লিপি শুধু টেবিল টেনিসেই দক্ষ নয়, খুব ভালো করে নাচতেও জানে। লুনার প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় আর মামুনের গানের মেলোডিতে পুরোহলময় উপস্থিত সবাই বিমোহিত।

মরহুম প্রফেসর মোফাজ্জালুল হকের তত্ত্ববধানে আমাদের অনার্স প্রথম বর্ষের বান্দরবন শিক্ষা সফর ছিলো অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা, যদিও পাহাড়ে চড়তে গিয়ে শিউলীকে পা পিছলে সেদিন পানিতে পড়ে যেতে হয়েছিলো, আর গৌতম ঝাঁপিয়ে তাকে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা করে। রাতে জেলা পরিষদের ডিসি সাহেবের আপ্যায়ন আর সেনাবাহিনীর নির্বিঘ্ন নিরাপত্তার তারিফ করতেই হয়।

আমার বড় বোন শিপা আজিজার ভাই হিসেবে শিক্ষক মহোদয় বিশেষ করে মরহুম প্রফেসর আসাদ স্যার, ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ, ড. গিয়াস উদ্দীন চৌধুরী, ড. কামরুল আলম, ড. হাবিব জাফর উল্লাহর আমার এবং একই সঙ্গে আমাদের প্রতি স্নেহ-মমতা বিশেষভাবে উল্লেখের দাবি রাখে। কেমন করে যেন আসাদ স্যার এই সংবাদটা জেনে গিয়েছিলেন, আজও তা অজানাই থেকো গেলো।

আমাদের সার্ক শিক্ষা সফরের অভিজ্ঞতা আমাদের বন্ধুত্বকে বিশেষ এক মর্যাদায় নিয়ে আসে। ফলশ্রুতিতে পরবর্তিতে পদ্মাপাড়ের মাওয়া আর নারায়ণগঞ্জের পাগলার ম্যারিএন্ডারসন এর পার্টি এবং সিলেট সফর বন্ধুত্বের বন্ধনকে আরও মজবুত করে। আমাদের বন্ধু মহলের সবাই এসব সফরে অনেক মজার-মজার স্মৃতি এবং ঘটনা নিয়ে নিজ-নিজ অভিজ্ঞতার ঝুলিকে সমৃদ্ধ করে তুলেছেন। সার্ক শিক্ষা সফরের পূর্বে আমাদের সবার কাছে মূর্তিমান এক আতংকের নাম ছিলেন ড. মহব্বত খান এবং নিরামিষাসী ড. ঝেরিনা রেহমান খান। কিন্তু সার্ক শিক্ষা সফরে মহব্বত স্যার (ইন্টার ভিউ বাদে, ঝেরিনা রেহমান খান, কামরুল স্যার, মাহবুব স্যার এর আন্তরিকতায় আমরা প্রত্যেক ছাত্র/ছাত্রীই সেদিন অভিভূত হয়ে গিয়েছিলাম।

দিল্লী ইয়ুথ হোস্টেলের বিচিত্র অভিজ্ঞতা বাদে শিমলা, আগ্রা, জয়পুর, তাজমহল, কুতুব মিনার দর্শন ছিলো এক দারুন অভিজ্ঞতা। রাজস্থান বিশ্ববিদ্যালয়ে ড. এমপি শর্মা আর তার অতি ভদ্র অ্যাসোসিয়েট্স এর আতিথেয়তা ছিলো আমাদের কাছে বাড়তি পাওনা। মাঝে-মাঝে অনেকে হঠাৎ-হঠাৎ জন্মদিন পালন (যেমন আলমগীর-মাহবুব স্যার বলেছিলেন, হলফ করে বলতে পার আজ আলমগীরের জন্মদিন না!), জয়পুরের সিনেমা হলে জয়পুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আতিথেয়তায় মাধুরী-আনিল কাপুরের সিনেমা উপভোগ, আর খালেদ কর্তৃক মাহবুব স্যারকে দিয়ে দিল্লী টার্মিনালে ব্যাগেজ টানানো- সে এক রোমাঞ্চকর স্মৃতি হয়ে আছে।

পদ্মা-মাওয়ার অভিজ্ঞতার রেশ কাটতে না কাটতেই সিলেট সফর আমাদের সবার মানষপটে এক বিশাল সুখস্মৃতি হয়ে আছে, সবাই একবাক্যে সেটা স্বীকার করবেন, তাতে কোনো সন্দেহ নাই। সিলেটের আর শিমলার মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্য সেদিন সবাইকেই দারুণভাবে আকৃষ্ট করেছিলো। লতা, লিপি, মিথু, তুলতুল, কণা, মেরিনা, লিণ্ডা, রকীব, স্বর্ণা, মাসুদ, মামুন, খালেদসহ আরো অনেককেরই সেদিন সেখানে থেকে যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছিলো।

ক্যাম্পাস সংলগ্ন হলে থাকার সুবাদে দুপুরের খাওয়া-দাওয়া প্রায়ই বন্ধু-বান্ধব মিলে হল ক্যাফেটারিয়াতে কিংবা টিএসসি ক্যাফেতে খেতে হতো, অনেক সময় বন্ধুদের বাসায়ও খেতে হতো, সেই সব কেবলই আজ স্মৃতি। বিশেষ করে প্রিয় বন্ধু আনিসের বাসায় যখন তখন যাতায়াত, ওর মা-ভাবী-বোনকে খাবারের জন্য কতো যে জ্বালিয়েছি, তার কোনো ইয়ত্তা নেই। অবশ্য মামুন, মাসুদ, শিলা, মাহমুদ এবং বিভার নাম নিয়ে তাদেরকে খাটো করতে চাইনা। কারণ তাদের আতিথেয়তাও অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও (কারণ তারা এমনভাবে আমন্ত্রণ জানাতো না বলার উপায় ছিলোনা) নিতে হতো।

বন্ধুদের মাঝে কে যেন গরমের এক সন্ধ্যাবেলা বাসায় নিয়ে দারুণ এক কাপ চা খাইয়েছিলো, বিশ্বাস করো আজো সেই চায়ের স্বাদ ভুলতে পারি নাই, প্রিয় বন্ধুকে এই সুবাদে ধন্যবাদ দিয়ে ছোট করতে চাইনা, বন্ধু আজো সেই চা এর স্বাদ সমানভাবে মধুর হয়ে হৃদয়-মনে গেঁথে আছে। সিলেটের সফরে মাহবুব স্যারের স্ত্রী আমাদের সঙ্গী হয়ে সেই সফরকে আনন্দে ভরিয়ে তুলেছিলেন। ধন্যবাদ ভাবীকেও। অবশ্য হাকিম চত্তরের হাকিম ভাইয়ের চা, আর চিনি কম দুধ বেশী- টিএসসির সেই ফেরীওয়ালার চা, আর চারতলার নান্নু-বাচ্চুর গরম সিঙ্গারার সঙ্গে গরম চা-সেও তুলনাবিহিন। আর ডিপার্টমেন্ট এর ইউনুস আর সেমিনার রুমের আজিজ  ভাইয়ের অকৃপণ ভালবাসা স্মৃতির মানসপটে ঝক-ঝকে হয়ে আছে।

অনার্সের কোর্স চলাকালীন মাঝখান থেকে হঠাৎ করে মেধাবী ছাত্র বন্ধু অভিজিত এর ছিটকে পড়াটাও ছিলো আরো এক দুঃসংবাদ। অভিজিত যেখানে যে অবস্থায় থাকো, ভালো থাকো বন্ধু।

বন্ধু জুয়েলের চাচার (মরহুম ওবায়দুর রহমান) মৃত্যু সংবাদে এবং তৎপরবর্তি কুলখানিতে অংশ নেয়ার সুবাদে জুয়েল পরিবারের সঙ্গে একাত্মতার আরো এক সুযোগে সেদিন অভিভূত হয়েছিলাম জুয়েলের আন্তরিকতা আর একাগ্রতায়।

মেরি অ্যান্ডারসনের পার্টির (ঠিক মনে করতে পারতেছিনা, না কি এলিফ্যান্ট রোডের পার্টির পরে) আমার ডিপার্টমেন্টের সব বন্ধুরা(বন্ধু-বান্ধবী,না কি সেটা ছিলো কেবল বান্ধবীদের পক্ষ থেকে!) মিলে আমাকে অসাধারণ সুন্দর একসেট পাজামা-পাঞ্জাবী উপহার দিয়েছিলেন, যা আজও অতি যত্নের সাথে রেখে দিয়েছি, বিশেষ কোনো পার্টি হলে আমি সেই পাজামা-পাঞ্জাবী পরিধান করে থাকি, আমার বন্ধুদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে।

আজকের এই স্মৃতি রোমন্থনের সুবাদে তাদেরকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে আরো একবার ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

বাংলা একাডেমীর বই মেলা, ওপেন এয়ার কনসার্ট, বিশ্ববিদ্যালয় ডে, সর্বত্র ছিলো আমাদের সমান পদচারনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের দশটি বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং লোকপ্রশাসন বিভাগের সকল বন্ধু-বান্ধবীদের সঙ্গে কতো হৈ-হুল্লোড় আর আনন্দ করেছি তা কি এই স্বল্প পরিসরে বর্ণনা করা যায়? তাছাড়া বয়সের কারণে স্মৃতি ভ্রমও হতে চলেছে, অনেক নাম, অনেক ঘটনা মনে করতেও বড় কষ্ট করতে হচ্ছে, কারণ ইতিমধ্যে অনেক সময় চলে গেছে, পদ্মায় অনেক জল গড়িয়েছে, সময়ও বদলে গেছে অনেক।

আজকের এই স্মৃতিচারণ কেবল মাত্র লোকপ্রশাসন বিভাগের ৮৫-৮৬-৮৭ ব্যাচের মধ্যে সীমাবদ্ধ, অনিচ্ছাকৃতভাবে কারো নাম না এসে থাকলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য বিনিত অনুরোধ করছি। কারণ, আমার ক্যাম্পাসের স্মৃতির ভাণ্ডরতো বিশাল, এর গভীরতাও অনেক, জাতীয় পর্যায়ে এর প্রভাবও অনেক গভীরে প্রোথিত, ইচ্ছে আছে ক্যাম্পাসের সেইসব স্মৃতি নিয়ে পরবর্তী কোনো সংখ্যায় ব্যাপক পরিসরে লেখার। তখন অবশ্যই সকল জানা-অজানা বন্ধুদের কথা আসবে, জাতীয় পর্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সান্নিধ্যের খবরও থাকেব তাতে। আজ এই পর্যন্তই, ভালো থেকো বন্ধুরা, জয় হউক আড্ডার।

সৈয়দ শাহ সেলিম আহমেদ, ইউকে থেকে

[email protected]
5th Feb.2012.UK  
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৩ ঘণ্টা, ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১২

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।