বস্টনে ক্যামব্রিজ দারুল কাবাব রেস্তোঁরায় গত ৩০ ডিসেম্বর নিউ ইংল্যান্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে সদ্য প্রয়াত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টাম-লীর সদস্য মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আব্দুর রাজ্জাক এবং জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর স্মরণে শোকসভা আয়োজিত হয়।
নিউ ইংল্যান্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ চৌধুরীর সভাপতিত্বে শোক সভায় মূল বক্তব্য এবং শোক প্রস্তাব উত্থাপন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও ইতিহাসবিদ অধ্যক্ষ আহমেদ হাসান।
সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ইউসুফের সূচনা বক্তব্য এবং পরিচালনায় শোক সভার প্রারম্ভে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের শহীদ, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ পঁচাত্তরের কালরাত্রিতে নিহতদের এবং আব্দুর রাজ্জাক এমপি ও অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির অন্যতম সমন্বয়কারী প্রাক্তন সফল মন্ত্রী, মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাজ্জাক এমপি’র বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের ওপর আলোকপাত করে বক্তারা বলেন, তার অনুপস্থিতিতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গণে এক বিশাল শূণ্যতার সৃষ্টি হয়েছে এবং গণতন্ত্রের অগ্রযাত্রায় প্রয়াত আবদুর রাজ্জাকের অভাব সদা অনুভূত হবে।
শোকসভায় বক্তারা আরো বলেন, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে এবং যুদ্ধাপরাধীদের চলমান বিচার প্রক্রিয়ায় আব্দুর রাজ্জাক এমপি এবং জাতীয় অধ্যাপক কবীর চৌধুরীর অবদান অতুলনীয়। একাত্তরের মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া সুসম্পন্ন করে ঘাতক-দালালদের বিচারের মাধ্যমেই তাদের প্রতি যোগ্য সম্মান প্রদর্শিত হবে।
বক্তারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ত্বরান্বিত করার দাবি জানান এবং অবিলম্বে একাত্তরের ঘাতক দালালদের নির্মূলের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের এই দুই যোদ্ধার আজীবনের স্বপ্ন অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
আলোচনায় আরো অংশগ্রহণ করেন অধ্যাপক ড. সৈয়দ আবু হাসনাত, ড. মুনীর হুসেইন, মুক্তিযোদ্ধা রাতুল কান্তি বড়ুয়া, শহীদ সন্তান নাহীদ নজরুল সিতারা, ঊজ্জল বড়ুয়া, সালাউদ্দিন চৌধুরী, আব্দুর রাজ্জাক, আসিফ বাবু, সাহাবুদ্দিন চৌধুরী রবি, ইভা হাসনাত প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৩, ২০১২