ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

প্রবাসে বাংলাদেশ

‘পাসপোর্ট অধিদপ্তরে পেন্ডিং আছে ১৭০২টি পাসপোর্ট’

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৯
‘পাসপোর্ট অধিদপ্তরে পেন্ডিং আছে ১৭০২টি পাসপোর্ট’

ইতালি থেকে: ইতালির রাজধানী রোমে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের স্থায়ী ভবনে পাসপোর্টের হালনাগাদের বিভিন্ন তথ্য এবং প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য যে সুযোগ-সুবিধাগুলো দেওয়া হচ্ছে, সেই বিষয়গুলো নিয়ে একটি প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।

গত ৭ নভেম্বর দূতাবাসের কনফারেন্স রুমে কাউন্সিলর সিকদার মো. আশরাফুর রহমান ও এরফানুল হক এবং প্রথম সচিব শেখ সালেহ আহমেদ সাংবাদিকদের সামনে এই তথ্যগুলো তুলে ধরেন।

‘১০ হাজারের অধিক পাসপোর্ট জটিলতা রয়েছে’ এমন অপপ্রচারের জবাবে প্রথম সচিব সালেহ আহমেদ ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর পর্যন্ত সর্বশেষ তথ্য তুলে ধরেন।

তিনি জানান, ২০১৪ সাল থেকে ডিজিটাল পাসপোর্টের আবেদন গ্রহণ শুরু হয়। তখন ৪১৭টি পাসপোর্ট জমা পড়ে, দূতাবাস প্রদান করে ৪১৭টি; ২০১৫ সালে জমা পড়ে ২৫ হাজার ৭৫৪টি, প্রদান করা হয় ২৫ হাজার ৬৩৭টি; ২০১৬ সালে জমা পড়ে ১৬ হাজার ৯০৮টি, প্রদান হয় ১৬ হাজার ৯৯৮টি।

২০১৭ সালে জমা পড়ে ১০ হাজার ৯৮৬টি, প্রদান করা হয় ১০ হাজার ৫৪০টি; ২০১৮ সালে ১০ হাজার ৭৮৬টি জমা পড়লে প্রদান করা হয় ৭ হাজার ৯৬৭টি; সর্বশেষ ২০১৯ সালের অক্টোবর পর্যন্ত জমা পড়ে ৮ হাজার ৫৮৭টি আর দূতাবাস প্রদান করে ১১ হাজার ৪৫৬টি।

অন্যদিকে তথ্য পরিবর্তনের কারণে পাসপোর্ট পেইন্ডিং রয়েছে ৭৮২টি এবং পুলিশ ভেরিফিকেশনের কারণে পেইন্ডিং রয়েছে ৯২০টি। সব মিলিয়ে এক হাজার ৭০২টি পাসপোর্ট আটকে রয়েছে বাংলাদেশ পাসপোর্ট অধিদপ্তরে।

এসময় তথ্য গোপন করে পাসপোর্ট আবেদন না করার আহ্বানও জানান তিনি।

কাউন্সিলর এরফানুল হক বলেন, ২০১৮ সালের ১ জুলাই থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১০ হাজার ইউরো পর্যন্ত বৈধপথে রেমিটেন্স প্রেরণকারীদের পুরস্কার প্রদান করা হবে। এখানে উৎসাহ প্রদানের জন্য পুরুষ থাকবে তিনজন এবং নারী থাকবে দুইজন। এক্ষত্রে ৩০ নভেম্বর আবেদন গ্রহণের শেষ তারিখ বলে জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার রেমিটেন্স পাঠানোর ক্ষেত্রে শতকরা ২ শতাংশ প্রণোদনা কার্যকর করেছে এবং যেই ব্যাংকগুলো এখনো করেনি সেগুলোও এই প্রক্রিয়া শুরু করবে। পাশাপাশি ওয়েজ অনার্স কল্যাণ বোর্ডে নিবন্ধন করলে সন্তানদের লেখাপড়া সংক্রান্ত সহযোগিতা, প্রবাসী ঋণ ও প্রবাসীদের মরদেহ বহনের খরচসহ বিভিন্ন সুবিধাগুলোর কথাও তুলে ধরেন তিনি।

এদিকে দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচির বিষয়ে কাউন্সিলর সিকদার মো. আশরাফুর রহমান বলেন, রাষ্ট্রদূত শুধু রোমেই নয়, বিভিন্ন প্রদেশগুলোতে নিজেই কনস্যুলেট সার্ভিসে যান। সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করেন। সেদিক থেকে যেকোনো বিষয়ে কথা বলতে বা দেখা করতে যে কেউ-ই তার কাছে আসতে পারেন, কথা বলতে পারেন। সেখানে এই ধরনের কর্মসূচিতে বিদেশিদের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করাই হবে মূল উদ্দেশ্য, অন্য কিছু নয়।

প্রেস কনফারেন্সে অল ইউরোপিয়ান বাংলা প্রেসক্লাব ও বাংলা প্রেসক্লাব ইটালির সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১০, ২০১৯
এসএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।