ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

প্রবাসে বাংলাদেশ

লন্ডনে বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন

ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২০২ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৯
লন্ডনে বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন বক্তব্য রাখছেন হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম

ঢাকা: শিশু-কিশোরদের মিলন মেলায় লন্ডনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপিত হয়েছে।

রোববার (১৭ মার্চ) পূর্ব লন্ডনের ইমপ্রেশন ইভেন্ট সেন্টারে চার থেকে চৌদ্দ বছর বয়সী বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি-ব্রিটিশ শিশু-কিশোর উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু ও ব্রিটেন’ শীর্ষক চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।  

সোমবার (১৮ মার্চ) লন্ডনের বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে ঢাকায় পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিনে বেশ কয়েকজন শিশু বড়দের পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর জীবন, কর্ম ও আদর্শ সম্পর্কে তাদের ধারণা ও অনুভূতি সুন্দরভাবে উপস্থাপন করে।

যুক্তরাজ্যে জন্ম নেওয়া ও বেড়ে ওঠা এই শিশুরা বলে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধুর উত্তরসূরি হিসেবে তারা গর্বিত।  

এসময় হলভর্তি শ্রোতা-দর্শক করতালির মাধ্যমে শিশু-কিশোরদের অভিবাদন জানান।

অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবন, কর্ম ও আদর্শে অনুপ্রাণিত করার জন্যই বাংলাদেশ হাইকমিশনের এ আয়োজন। তিনি শিশু-কিশোরদের বঙ্গবন্ধুর ধর্ম-বর্ণ ও জাতিভেদে মানুষের জন্য অপার ভালোবাসা, সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে অসীম সাহসী অবস্থান এবং দেশের জন্য সীমাহীন ত্যাগের আদর্শ অনুসরণের আহ্বান জানান।

আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রখ্যাত সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী ও যুক্তরাজ্যে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সুলতান মাহমুদ শরীফ বক্তব্য রাখেন। তারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অনুসরণ করে শিশু-কিশোরদের কল্যাণে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানের শুরুতে মঞ্চে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে হাইকমিশনার লন্ডন মিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকেও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষে প্রদত্ত রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে একদল শিশু-কিশোর গান, নাচের সুর ও ছন্দে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন বিমূর্ত করে তোলে। শিশু-কিশোর ও অভ্যাগত অতিথিদের নিয়ে হাইকমিশনার বঙ্গবন্ধুর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি কেক কাটেন। পরে চিত্রাংকন ও রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। শিশু-কিশোর, তাদের অভিভাবক ও আমন্ত্রিত অতিথিদের আপ্যায়নের মাধ্যমে বর্ণিল অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, মার্চ ১৯, ২০১৯
টিআর/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।