ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

প্রবাসে বাংলাদেশ

পোল্যান্ডে রাষ্ট্রদূতের হাতে একুশের আলপনা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৬
পোল্যান্ডে রাষ্ট্রদূতের হাতে একুশের আলপনা

ওয়ারশ (পোল্যান্ড): রাষ্ট্রদূত তিনি। ভিনদেশে বাংলার প্রতিনিধি।

বাংলাদেশের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য আর জীবনাচারের ধরন-ধারণ নিয়ে ইতিবাচক প্রচারণা চালানো তার দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে। কিন্তু অমর একুশে সামনে রেখে তিনি যা করলেন তা তার দায়িত্বের চেয়েও বেশি কিছু, প্রাণের আবেগের বিচ্ছুরণ।

তার নাম মাহফুজুর রহমান। ইউরোপের দেশ পোল্যান্ডে বাংলাদেশের এই রাষ্ট্রদূত অমর একুশে পালনের জন্য নিজ হাতে তুলে নিয়েছেন রংতুলি। দূতাবাস চত্বরে নিজেই এঁকেছেন আলপনা। প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো কবিতা দিয়ে নিজ হাতে লিখেছেন দেয়াল পত্রিকা। দুর্লভ কিছু আলোকচিত্রও পুনর্মুদ্রণ করিয়েছেন তিনি।

মাহফুজুর রহমানের নেতৃত্বে দূতাবাসকর্মীদের নিরলস চেষ্টা এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সেগুলোর সচিত্র বিবরণ দৃষ্টি কেড়েছে অনেকের।

দূতাবাস চত্বরেই নির্মাণ করা হয়েছে শহীদ মিনার। প্রায় সোয়া কিলোমিটার প্রদক্ষিণ করে একুশের প্রথম প্রহরে শোভাযাত্রা সহকারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় সেই শহীদ মিনারে।

শোভাযাত্রার পথ সহায়ক হিসেবে দুই পাশে সারি বেঁধে রাখা একুশটি করে মোমবাতি।

শহীদ মিনারের পাদদেশে  আলপনা। সারা রাতের তুষারপাত আর বৃষ্টি অনেক কিছু ধুয়ে নিয়ে গেলেও মুছতে পারেনি বিরামহীন প্রচেষ্টার এই আলপনা। শীতে নেতিয়ে পড়া গাছ-ঝাড়ে শোভা পাচ্ছে পলিস্টারিনে আঁকা বাংলা হরফ। টানানো হয়েছে একুশের দেওয়াল পত্রিকা।

২০ ফেব্রুয়ারি সূর্যাস্তের পর থেকেই দূতাবাসে নেপথ্যে বাজছে ভাষা আন্দোলনের সব গান। ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি!’ গানে দূতাবাসই হয়ে উঠেছে বাংলাদেশের এক হূদয়।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৫
জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।