সিরিয়ায় বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে সর্বপ্রথম কাতারের আমীর শেখ হামাদ বিন খলীফা সেখানে আরব সৈন্য পাঠানোর দাবী তুলেছিলেন। এ নিয়ে সিরিয়া প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয় কাতার সরকারের ওপর।
এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিশোধ পরায়ন মানসিকতার জের হিসেবে মঙ্গলবার আমিরাত ভিত্তিক টেলিভিশন চ্যানেল আল আরাবিয়ার ওয়েবপেজ হ্যাক করে সেখানে কাতারে সামরিক বিদ্রোহের ভূয়া খবর ছড়িয়ে দেয় সিরিয় সেনাবাহিনীর আইটি এক্সপার্টরা।
বিষয়টি টের পেয়ে আল আরাবিয়া তৎপর হয় এবং তাদের এক্সপার্টরা হ্যাক হওয়া ওয়েব দ্রুত উদ্ধার করে।
আল আরাবিয়া হ্যাক করার পর সেখানে সিরিয় হ্যাকারদের দেওয়া খবরে বলা হয়, বিদ্রোহ টের পেয়ে মার্কিন হেলিকপ্টার কাতারের আমীর ও তার স্ত্রীকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়েছে। ’ কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে আমীর তখন দিব্যি কাতারে আরব নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন।
ইরান প্রথম থেকেই সিরিয়ার পাশে রয়েছে। কাজেই ইরানও কাতারের ব্যাপারে ক্ষুব্ধ। ইরানের সংবাদ মাধ্যমগুলো এ গুজবকে ফলাও করে প্রকাশ করে।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন ধরে ইরান ও আরব আমিরাতের মধ্যে তিনটি দ্বীপ নিয়ে উত্তেজনা চলছে, যা নিরসনে কাতার উদ্যোগী হয়ে বৈঠক ডেকেছ। এটিও ইরানের কাতার বিদ্বেষের অন্যতম কারণ।
তামীম রায়হান: কাতার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত
বাংলাদেশ সময় : ১৩১৭ ঘণ্টা, ১৮ এপ্রিল, ২০১২
সম্পাদনা : আহ্সান কবীর, আউটপুট এডিটর