ঢাকা, রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

গাজীপুরে আ.লীগের সম্মেলনে মন্ত্রী-এমপির সামনেই ভাঙচুর কর্মীদের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪০ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০২২
গাজীপুরে আ.লীগের সম্মেলনে মন্ত্রী-এমপির সামনেই ভাঙচুর কর্মীদের

গাজীপুর: গাজীপুর মহানগর বাসন থানা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে আংশিক কমিটি ঘোষণা পরপর সভাস্থলে মন্ত্রী-এমপির সামনে বিক্ষোভ এবং চেয়ার ভাঙচুর ও ব্যানার তছনছ করেছে দলীয় কর্মীরা। বুধবার (২ নভেম্বর) বিকেলে গাজীপুর ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজ মাঠে এ ঘটনা ঘটে।

সম্মেলনে সাবেক অধ্যক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বারীকে সভাপতি, মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য ফাইজুল আলম দীলিপকে সহ-সভাপতি, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্য মো. আবুল কাশেমকে সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা যুবলীগের সাবেক সদস্য ও ভাওয়াল বদরে আলম কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি মো. শফিকুল ইসলাম শফি, মো. আমির হোসেন ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক রকিব সরকারকে যুগ্ম সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. আজমত উল্লাহ খান তাদের নাম ঘোষণা করেন। এ কমিটি পরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করবে।

এসময় প্রধান অতিথি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক, বিশেষ অতিথি গাজীপুরের সংরক্ষিত আসনের এমপি শামসুন্নাহার ভূঁইয়া, গাজীপুর-৪ আসনের এমপি মেহের আফরোজ চুমকি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মির্জা আজম, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল্লাহ মন্ডল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, বাসন থানা কমিটিতে সভাপতি পদে তিনজন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ২০ জন প্রার্থী ছিলেন। পরে সভাপতি পদের প্রার্থীরা আব্দুল বারীকে সমর্থন দিয়ে নিজেরা সরে যান। তবে সভাপতি পদের প্রার্থীতা প্রত্যহারকারী মো. আবুল কাশেমকে সাধারণ সম্পাদক এবং মো. শফিকুল ইসলাম শফি, মো. আমির হোসেন ও রাকিব সরকারকে যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পরপরই একদল যুবক বিক্ষোভ শুরু করেন এবং সম্মেলনস্থলে থাকা প্লাস্টিকের চেয়ার ভাঙচুর ও আশেপাশে টাঙানো বিভিন্ন প্রার্থীর ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে তছনছ করেছে। এতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

বাসন থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ফারুক হোসেন জানান, নতুন ঘোষিত কমিটিতে কোনো প্রার্থী কাঙ্খিত পদ না পাওয়ায় তার সমর্থিত নেতা-কর্মীরা এ কাণ্ড ঘটিয়ে থাকতে পারে। তারা নতুন কমিটি ঘোষণা শেষ হওয়া মাত্রই উত্তেজিত হয়ে সভাস্থলের শতাধিক চেয়ার ভাঙচুর ও তছনছ করে। এছাড়া ব্যানার-ফেস্টুনও ছিঁড়ে ফেলেছে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৯, নভেম্বর ২, ২০২২
আরএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।