ঢাকা, শুক্রবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

আওয়ামী লীগ এখন ব্রেকফেল গাড়ির যাত্রী: জাগপা 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২২
আওয়ামী লীগ এখন ব্রেকফেল গাড়ির যাত্রী: জাগপা 

ঢাকা: ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এখন নিয়ন্ত্রণ হারানো (ব্রেকফেল) গাড়ির যাত্রী এবং তাদের পতন অনিবার্য বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান।  

তিনি বলেন, সরকার সামলানো আমলারা এখন কাঁদছেন কেন? আজ আপনাদের বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো কি ইঙ্গিত করে? আলামত ভালো নয়, আমলাদের ওপর শেখ হাসিনা সরকার বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছে।

তারা এখন ব্রেকফেল গাড়ির যাত্রী হয়ে বসে আসে। তাই প্রশাসনের ওপর বাধ্যতামূলক অবসর খেলা শুরু করে দিয়েছে। এই খেলার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারকে শেষ অবসরে পাঠাতে হবে। তাই দেশপ্রেমিক সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।  

শনিবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী মিলনায়তনে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) প্রয়াত সভাপতি অধ্যাপিকা রেহানা প্রধানের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক আগাম দুর্যোগ ঘোষণা ও কোন পথে যাবে বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় রাশেদ প্রধান এসব কথা বলেন।  

তিনি আরও বলেন, দেশের দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতি আওয়ামী লীগই সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকট আওয়ামী লীগ ফ্যাসিবাদের দুর্নীতির কারণেই হয়েছে। ওরা দেশের মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে গণতন্ত্রকে পঙ্গু বানিয়েছে। তাই আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে ২০২৩ সালে দেশের মানুষকে এক বেলার খাবারও বাটি মেপে খেতে হবে এবং সাধারণ মানুষকে না খেয়ে মরতে হবে! এটাই আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক দেশের আগাম দুর্যোগের ঘোষণা। শেখ হাসিনা সরকার কর্তৃক দুর্যোগের আগাম বার্তা প্রমাণ করে এটি নির্লজ্জ সরকারের চরম ব্যর্থতার প্রতিধ্বনি। এই আওয়ামী লীগ সরকার বিভিন্ন সভা-সমাবেশে, সাংবাদিক সম্মেলনে এমন কি বিদেশে গিয়েও সাংবাদিকদের বলেছিল বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ! আজ আফসোস হয়, সেই আওয়ামী লীগ সরকারের মুখে দুর্যোগের আওয়াজ শুনতে হচ্ছে।  
 
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, আওয়ামী লীগের অধীনে আগামী নির্বাচন সুষ্ঠ হবে না এবং বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে আমরা অর্থাৎ দেশের জনগণ নির্বাচনে অংশ নেবে না।  

তিনি আরও বলেন, আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ ছিল দেশের জন্য, দেশের জনগণের জন্য। কিন্তু স্বাধীনতার স্বাদ দেশের জনগণ গত এক যুগের বেশি সময় ধরে হারিয়ে ফেলেছি। তাই এই সরকারকে হঠাতে হলে বড় দল, ছোট দল বিষয় নয়। প্রয়োজন সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে যুগপৎ আন্দোলনে সমবেত হওয়া।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোবারক হোসাইন, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, ডিএলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, জাগপার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, যুব জাগপার সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবলু, জাগপা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র সরকার প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২২, ২০২২
এমএইচ/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।