ঢাকা, শনিবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ মে ২০২৪, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

‘শর্ত পূরণের পরও নিবন্ধন নিয়ে টালবাহানা করলে গণআন্দোলন’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২২
‘শর্ত পূরণের পরও নিবন্ধন নিয়ে টালবাহানা করলে গণআন্দোলন’

ঢাকা: এবি পার্টির সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মনজু বলেছেন, সব শর্ত পূরণের পরও ষড়যন্ত্রের ঘৃণ্যজালে দলের নিবন্ধন নিয়ে টালবাহানা করা হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে।  

শনিবার (১৫ অক্টোবর) বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

 

পার্টির নিবন্ধন আবেদন দাখিলের কার্যক্রম ও নির্বাচন কমিশনের শর্ত জটিলতা নিয়ে লিখিত বক্তব্যে মনজু বলেন, দলের নিবন্ধন কার্যক্রম ছিল খুবই কঠিন ও চ্যালেঞ্জিং। সরকারের বিভিন্ন সংস্থার অব্যাহত নজরদারি ও একটি বিশেষ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের হিংসাত্মক প্রতিক্রিয়াকে মোকাবিলা করে জেলা ও উপজেলাসমূহে কমিটি গঠন ও অফিস স্থাপন করতে হয়েছে। একটা ঘরোয়া মিটিং করতে গেলেও পুলিশ অনুমতি নেই বলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে, আসা জনসাধারণের ছবি, ঠিকানা, ফোন নম্বর সংগ্রহ করে ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে।  

তিনি বলেন, আমরা দল ঘোষণার পর থেকেই জামায়াতের উগ্রপন্থী একটি অংশ আমাদের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন ধরনের ফতোয়াবাজি ও অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে, এমনকি হত্যার ফতোয়া পর্যন্ত দিয়েছে। তার ওপর রয়েছে নির্বাচন কমিশনের নতুন রাজনৈতিক শক্তি বিকাশের পরিপন্থী কঠিন শর্তসমূহ। যেখানে কমিশনের উচিত ছিল সহজ শর্তে রাজনৈতিক দল নিবন্ধন দিয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশকে সংহত করা, সেখানে কমিশন নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের প্রক্রিয়াকে আটকে দিয়েছে কঠিন ও অগণতান্ত্রিক শর্তের বেড়াজালে।  

মনজু বলেন, গোটা বাংলাদেশে চলছে একটি স্বৈরাচারী শাসন। যার কারণে কোনো রাজনৈতিক দলই স্বাধীনভাবে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছে না। সেখানে ২৩ জেলায় ও ১০০ উপজেলায় কমিটি গঠন ও দুইশ ভোটার পার্টির সদস্য অর্থাৎ বিশ-বাইশ হাজার মানুষকে পার্টির সদস্য হওয়ার দালিলিক প্রমাণ, কার্যকর অফিস স্থাপন একটি দুরূহ ব্যাপার। পুলিশি হয়রানি, সরকারি দলের হুমকি, ধামকিতে কোনো বাড়ির মালিক রাজনৈতিক দলকে অফিস ভাড়া দিতে আগ্রহী হয় না। এমতাবস্থায় আমরা আমাদের জেলা, মহানগর, উপজেলা ও থানা পর্যায়ের নেতাদের অক্লান্ত পরিশ্রম ও আন্তরিক ভূমিকার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের শর্তসমূহ পূরণ করতে সক্ষম হয়েছি।  

তিনি বলেন, আগামী ১৬ অক্টোবর আমরা নির্বাচন কমিশনের শর্ত অনুযায়ী এ সব দলিল দস্তাবেজসহ নিবন্ধনের আবেদন নির্বাচন কমিশনে জমা দেব ইনশাআল্লাহ।

এদিন সকাল থেকে এবি পার্টি নিবন্ধনের এ কার্যক্রমে অংশ নেওয়া সব জেলা, মহানগর, উপজেলা ও থানা প্রতিনিধিদের নিয়ে দিনব্যাপী প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রায় ছত্রিশ জেলা ও দেড় শতাধিক উপজেলার কয়েক শত নেতাকর্মী অংশ নেন। সম্মেলন শেষে একটি শোভাযাত্রা নগরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।  

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- এবি পার্টির আহ্বায়ক সোলায়মান চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট গোলাম ফারুক, যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, ব্যারিস্টার যোবায়ের আহমেদ ভূঁইয়া, বিএম নাজমুল হক, সিনিয়র সহকারী সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, আনোয়ার সাদাত টুটুল, এবিএম খালিদ হাসান, আমিনুল ইসলাম এফসিএ, আব্দুল বাসেত মারজান, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসাইন, কেন্দ্রীয় নেত্রী বেবী পাঠান, নাসরীন সুলতানা মিলি প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২২
এমএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।