ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

‘সহ্যের সীমা লঙ্ঘন হলে পরিণাম ভালো হবে না’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১, ২০২২
‘সহ্যের সীমা লঙ্ঘন হলে পরিণাম ভালো হবে না’

ঢাকা: আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আমাদের (আওয়ামী লীগ) মধ্যেও সহ্যের সীমা রয়েছে। আর সেই বাঁধ যদি ভেঙে যায়, তার ফল ভালো হবে না।

 

শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর)  বিকেলে হাজারীবাগে বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলার ঘটনায় আগারগাঁও পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন দলীয় কর্মীদের খোঁজখবর নিতে এসে নানক এ কথা বলেন।  

আহত কর্মীদের খোঁজখবর নেওয়া শেষে সাংবাদিকদের সামনে কথা বলেন আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের নেতারা। এতে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম। দলের পক্ষ থেকে আহতদের চিকিৎসার সব ব্যয় বহন করা হবে বলেও আহতদের পরিবারের সদস্যদের আশ্বস্ত করেন নেতারা। এ ধারাবাহিকতায় আহতদের পরিবারের সদস্যদের আর্থিক সচ্ছলতার জন্য নগদ ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।  

হাজারীবাগে বিএনপির কর্মসূচি থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আহতদের সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরেন জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, শাহ আলমের অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। আইরিনের দুই হাত ভেঙে দিয়েছে এবং আবদুল্লাহ এখন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছেন। আবদুল্লাহর শরীরে ১৮টি সেলাই লেগেছে এবং তার কিডনি ড্যামেজ হয়ে গেছে। সে এখন বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) সংকটাপন্ন অবস্থায় চিকিৎসাধীন।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, এই অবস্থা বিএনপি-জামায়াত সারা দেশব্যাপী চালাচ্ছে। শুধু আওয়ামী লীগকে লক্ষ্য করে নয়, তারা দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, পুলিশ বাহিনীর ওপর অতর্কিত হামলা করছে। এদের খাসিলত কোনো দিনই ভালো হলো না। এরা ২০০৯ সাল থেকেই একই অবস্থা সৃষ্টি করেছেন। অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, মানুষ হত্যা করেছে, রাজনীতির নামে এরা সন্ত্রাসীর পথ বেছে নিয়েছে। সরকারি অফিস জ্বালিয়ে দিয়েছে। ট্রেন লাইন উপড়ে ফেলেছে।

মানুষের জানমালের বিধান রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব জানিয়ে নানক বলেন, দেশে গণতন্ত্র রয়েছে, শেখ হাসিনার সরকার দেশের সব রাজনৈতিক দলকে মিছিল মিটিং করার অধিকার দিয়েছেন। কিন্তু সেই অধিকারকে যদি মনে করা হয় যে, জনগণ-আওয়ামী লীগ-নেতাকর্মী ও পুলিশের ওপর হামলাসহ তারা যা ইচ্ছা তাই করবে; তাহলে আমরাও পরিস্কারভাবে বলতে চাই- জনগণের শান্তি শৃঙ্খলা জানমাল নিরাপত্তার জন্য সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগও জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তার ভূমিকা পালন করবে।

আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র হামলায় দলের নেতাকর্মীদের আহত হওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, গত দুইদিন যাবৎ আমাদের আহত নেতাকর্মীদের দেখছি। আমরা বলতে চাই, সন্ত্রাসী কায়দায় সশস্ত্র কায়দায় মানুষের ওপর বিশেষ করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, দেশটিভির সাংবাদিকদের ওপর নির্মমভাবে আঘাত করেছে, আমরা এই সব কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

নাছিম বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে যদি কোনো রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করে সেক্ষেত্রে আমাদের বাধা দেওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। আমাদের কোনো কর্মসূচি নেই। কিন্তু কেউ যদি সন্ত্রাসী কায়দায় সশস্ত্র কায়দায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর আঘাত আনে, সাংবাদিকদের ওপর আঘাত আনে, দেশের সাধারণ মানুষের ওপর আঘাত হানে সেক্ষেত্রে আওয়ামী লীগ তার নেতাকর্মীদের নিয়ে, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জনস্বার্থে আইনশৃঙ্খলা এবং স্থিতিশীলতা রক্ষার জন্য বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসী গুণ্ডাদের প্রতিহত করার জন্য প্রয়োজনে রাজপথে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার, শান্তি সৃষ্টির লক্ষ্যে শান্তিপূর্ণ উপায়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত এবং মোকাবিলা করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে হাজারীবাগে বিএনপির হামলায় ঘটনায় সিকদার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসাধীন কর্মীদের খোঁজখবর নেন আওয়ামী লীগের প্রতিনিধি দলের নেতারা।  

তারা হলেন- জাহাঙ্গীর কবির নানক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মির্জা আজ।  

এ সময় ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানসহ স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ০১৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ০১, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।