ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

সরকার জাতিকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মিথ্যা গল্প শুনিয়েছে: ড. মঈন খান

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২২
সরকার জাতিকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের মিথ্যা গল্প শুনিয়েছে: ড. মঈন খান

সিলেট: আওয়ামী লীগ সরকার হাজার হাজার মেঘাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের গল্প শুনিয়ে দেশকে ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ড. আবদুল মঈন খান।
 
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের নামে সরকারের আশির্বাদিপুষ্ট কিছু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের সুযোগ করে দিয়েছে।

বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে। সরকারের দুর্নীতির মাশুল দিতে হচ্ছে সাধারণ জণগনকে।
 
শনিবার (৩০ জুলাই) সারাদেশে নজিরবিহীন লোডশেডিং ও জ্বালানিখাতে অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে সিলেট বিএনপি আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মঈন খান এসব বলেন।
 
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, বিনাভোটে নির্বাচিত সরকারের জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই। শহীদ জিয়ার প্রতিষ্ঠিত দল বিএনপি মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার রাজনীতিতে বিশ্বাসী। দেশে আইনের শাসন নেই, খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান শিক্ষার অধিকার নেই। কথা বলার অধিকার নেই। তারা (সরকার) মেগা উন্নয়নের মিথ্যা বুলি দিয়ে জাতির সঙ্গে প্রতারণা করছে। এজন্য সরকারকে অবশ্যই জবাবদিহী করতে হবে। এই সরকারের হাত থেকে দেশের অধিকারবঞ্চিত মানুষকে মুক্ত করতে আমাদের সংগ্রাম চলছে, চলবে।
 
তিনি বলেন, দেশ জাতি চরম ক্রান্তিকাল অতিবাহিত করছে। আর এই ক্রান্তিকাল গণতন্ত্র হত্যাকারী আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের নিজের হাতে তৈরী। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে জনজীবন অতিষ্ঠ।  

ড. মঈন খান বলেন, ভয়াবহ বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের প্রভাব রাষ্ট্রের প্রতিটি সেক্টরে পড়েছে। দেশ ক্রমশই ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। মানুষের ভোটে নির্বাচিত নয় বিধায় সরকার জণগনের কাছে কোনো জবাবদিহিতা নেই। ফলে সরকার দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তারা জনগণের কল্যাণের বিপরীতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টিতে লিপ্ত রয়েছে। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। এসব কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হলে তা যে কোনো সময় গণবিস্ফোরণে রূপ নিতে পারে। দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে হলে নিরপেক্ষ সরকারের কোনো বিকল্প নেই। ইতিহাস স্বাক্ষী এই সরকারকে ক্ষমতায় রেখে দেশে নিরপেক্ষ নির্বাচন কোনোভাবেই সম্ভব নয়। সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে বিএনপি যাবেনা যাবেনা। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে অবশ্যই এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরে যেতে হবে।
 
সিলেট মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুল কাইয়ুম জালালী পংকীর সভাপতিত্বে, ১ম যুগ্ম আহ্বায়ক হুমায়ুন কবির শাহীন ও যুগ্ম আহ্বায়ক রেজাউল হাসান কয়েস লোদী যৌথ ভাবে বিক্ষোভ সমাবেশ পরিচালনা করেন। এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী।
 
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মুকুল আহমদ মুর্শেদের পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মধ্যদিয়ে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক নজিবুর রহমান নজিব, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সিদ্দিকুর রহমান পাপলু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল আহাদ খান জামাল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াহিদ সুহেল, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সুদীপ জ্যোতি এষ, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিনার প্রমুখ।
 
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কাউন্সিলার ফরহাদ চৌধুরী শামীম, যুগ্ম আহ্বায়ক জিয়াউল গণি আরেফিন জিল্লুর, আজমল বখত চৌধুরী সাদেক, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ, মহানগর বিএনপির সদস্য জিয়াউল হক, আমির হোসেন, মাহবুব কাদির শাহী, নুরুল আলম সিদ্দিকী খালেদ, কাউন্সিলার সৈয়দ তৌফিকুল ইসলাম হাদী, হুমায়ুন আহমদ মাসুক, আবুল কালাম ও সৈয়দ সাফেক মাহবুব, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাশেম, সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা সভাপতি হাজী শাহাব উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক কুহিনুর আহমদ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আকবর প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, জুলাই ৩০, ২০২২
এনইউ/এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।