ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

সংসদে আইনমন্ত্রীর দেওয়া তালিকায় তোফায়েলের সংশোধনী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১০
সংসদে আইনমন্ত্রীর দেওয়া তালিকায় তোফায়েলের সংশোধনী

ঢাকা: সংসদে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ জানিয়েছেন, ৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে নির্বাচিত মোট ৪৩জন গণপরিষদ সদস্যকে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী কর্মকান্ডের জন্য  আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

ওয়ারেসাত হোসেন বেলালের তারকা চিহ্নিত (১১৫ নং) প্রশ্নের উত্তরে আইনমন্ত্রী আইন মন্ত্রী সংসদকে জানান, বহিস্কৃতরা হচ্ছেন মো. হাবিবুর রহমান, সৈয়দ হোসেন মনসুর, মো. আব্দুল গফ্ফার, আবুল কালাম ফয়জুল হক, এবিএম নুরুল ইসলাম, আজমাদ হোসেন খান, মো. নুরুল ইসলাম, জহির উদ্দিন, মো. ওবায়দুলাহ মজুদদার, একেএম মাহাবুবুল ইসলাম, মোঃ সাঈদ, মোশাররফ হোসেন, আক্তারুজ্জামান, সৈয়দ বদরুজ্জামান, ডা. আবুল হাশেম, অধ্যাপক শামসুল হক, মো. আবদুল বারেক, ডা. আজহার উদ্দিন আহমেদ, গোলাম আহাদ চৌধুরী, এ হাদী তালুকদার, আদিল উদ্দিন আহমেদ এডভোকেট, মুজিবুর রহমান তালুকদার, শামসুদ্দিন আহমেদ, খন্দকার আব্দুল মালেক, ডাঃ আবু সোলায়মান মন্ডল, ডাঃ জাহিদূর রহমান, তাহেরুল ইসলাম খান, রিয়াজ উদ্দিন আহম্মদ, মোঃ আদূস সালাম, কেবিএম আবু হেনা, জহুরুল হক, মোশাররফ হোসেন, হাবিবুর রহমান খান, কাজী হেদায়েত হোসেন, আব্দুল হাকিম মাস্টার, মো. সাজেদ আলী মিয়া, মাসুদ আহমেদ চৌধুরী, ডা. কাজী সিরাজউদ্দিন আহমেদ, গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ, মোহাম্মদ হাশেম, এম. সাখাওয়াতুলাহ এডভোকেট, মীর্জা আবু মনসুর এবং আখতারুজ্জামান চৌধুরী।



আইন মন্ত্রীর দেওয়া এ তালিকা ভুল বলে সংসদকে জানান তোফায়েল আহমেদ।

পয়েন্ট অব অর্ডারে তিনি বলেন, যাদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে তাদের সবাই স্বাধীনতাবিরোধী ছিলেন না।

সঠিকভাবে যাচাই না করে এমন তথ্য সংসদে দেওয়া উচিত নয় বলেও মন্তব্য করেন তোফায়েল আহমেদ।

তিনি বলেন, দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়াদের কয়েকজন স্বাধীনতাবিরোধীতো ছিলেনই না, বরং মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন।

এদের মধ্যে ময়মনসিংহের আবদুল মালেক প্রকাশ শহিদুল্লাহ, চট্টগ্রামের আকরামুজ্জামান চৌধুরী ও যশোরের মোশাররফ হোসেনের নাম উল্লেখ করেন তোফায়েল আহমেদ।

তিনি বলেন, ‘আমি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সচিব হিসেবে এ বিষয়গুলো জানতাম। ’

বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে ডেপুটি স্পিকার এম শওকত আলী বলেন, তালিকাটি এখনই প্রত্যাহার করা হচ্ছে না। তবে পরীক্ষা নীরিক্ষা করে তালিকাটি প্রতিস্থাপন করা হবে।

‘স্বাধীনতাবিরোধী কর্মকান্ডে কতজন সদস্যকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে?’ ওয়ারেসাত হোসেনের এ প্রশ্নটির সংশোধনী প্রস্তাবে আইনমন্ত্রী সংসদে বলেন, দল থেকে বহিষ্কৃত সদস্যদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যহার বা বহাল রাখা রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। আইন মন্ত্রণালয়ের এ বিষয়ে কিছু করার নেই।

আইনমন্ত্রী সংসদকে জানান, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ময়মনসিংহ থেকে বিজয়ী নুরুল আমিন ও পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে মেজর রাজা ত্রিদিব রায় বিদেশি রাষ্ট্র অর্থাৎ পাকিস্তানের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করার কারণে তারা কখনই বাংলাদেশ গণপরিষদ সদস্য ছিলেন না।

বাংলাদেশ সময় ১৮৩৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২২, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।