ঢাকা, সোমবার, ১৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৭ মে ২০২৪, ১৮ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

হত্যার উদ্দেশ্যেই ওয়াদুদ ভূঁইয়ার ওপর হামলা: রিজভী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১২ ঘণ্টা, জুন ৪, ২০২২
হত্যার উদ্দেশ্যেই ওয়াদুদ ভূঁইয়ার ওপর হামলা: রিজভী

ঢাকা: খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূঁইয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার বাসভবনে হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শনিবার (৪জুন) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।

রিজভী বলেন, শনিবার খাগড়াছড়িতে ওয়াদুদ ভূঁইয়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার বাসভবনে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের মিছিল থেকে হামলা ও বাড়ির আসবাবপত্র, গাড়ি ভাঙচুর এবং ৪টি মটর সাইকেল জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। এছাড়াও আশপাশের বিএনপি সমর্থিত ব্যবসায়ীদের ২৫টিরও বেশি দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট করে তারা।

তিনি বলেন, পুলিশের সহযোগিতায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে। এতে যুবদল সভাপতি মাহবুব আলম সবুজ, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ মিলন, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক একরাম হোসেন রানা, সহ-সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক- সোহেল দেওয়ান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি- অংগ্য মারমাসহ প্রায় ৩০ জন বিএনপি নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। একই সময় বাংলাভিশন চ্যানেলের রিপোর্টার এইচ এম প্রফুল্লোর বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে।

রিজভী বলেন, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দলের ভাইস চেয়ারম্যান  বরকত উল্লাহ বুলু ও স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা দুস্থ ও অসহায় মানুষের মাঝে খাদ্য বিরতণ করছিলেন। তখন আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা অতর্কিত হামলা ও ককটেল বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে দুস্থ মানুষের খাদ্য ছিনিয়ে নেয়। এসময় বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। সাংবাদিকরা এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে গেলে একজনকে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা মারধর করে মুঠো ফোন ছিনিয়ে নেয়।

সরকারের মন্ত্রীদের নির্দেশেই বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর একের পর এক হামলা করা হচ্ছে দাবি করেন রিজভী। বলেন, ঢাবিতে ছাত্রদলের ওপর সশস্ত্র হামলার পর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ছাত্রলীগকে বাহবা দিয়েছেন। তাদেরকে ভবিষ্যতে আরও হামলা করার জন্য উৎসাহিত করেছেন।

বাংলাদেশে বর্তমানে বিরোধীদলের সভা-সমাবেশের কোনো অধিকার নেই জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি কোনো সমাবেশ করতে গেলে প্রেসক্লাবের সামনে চারদিক ঘেরা স্থানে অনুমতি দেওয়া হয়। অথচ শনিবার গণমাধ্যমে দেখলাম রাজধানীর ৭টি বড় পয়েন্টে আওয়ামী লীগ সমাবেশ করছে। এক দেশে দুই আইন চলছে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা মুনীর হোসেন, আব্দুল খালেক, সেলিমুজ্জামান সেলিম, তারিকুল ইসলাম তেনজিং, আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ।  

বাংলাদেশ সময়: ২১১২ ঘণ্টা, জুন ০৪, ২০২২
এমএইচ/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad