ঢাকা, বুধবার, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৯ মে ২০২৪, ২০ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

চতুর্মুখী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে: গয়েশ্বর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৮ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২২
চতুর্মুখী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করতে হবে: গয়েশ্বর

ঢাকা: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বিএনপির বিরুদ্ধে চতুর্মুখী ষড়যন্ত্র হচ্ছে।

এ ষড়যন্ত্র ঐক্যবদ্ধভাবে আমাদের মোকাবিলা করতে হবে।

সোমবার (১৮ এপ্রিল) ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলা এবং দোহার থানা ও পৌরসভা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, জাতীয়তাবাদী সব দেশপ্রেমিক শক্তি ঐক্যবদ্ধ হয়ে চলতে হবে, রাজপথে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। তাহলে দেশে গণতন্ত্রের মুক্তি হবে, গণতন্ত্রের মাতা খালেদা জিয়ার মুক্তি হবে, আমাদের নেতা তারেক রহমান দেশে আসবেন।  
 
উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকবেন, একসঙ্গে কাজ করবেন। আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

সাবেক মন্ত্রী নাজমুল হুদাকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, খেয়াল করবেন, আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে। আগে বিএনপি করতো, এখন বিএনপিকে গালাগাল দেয় ও শেখ হাসিনার প্রশংসা করে। এ দোহার-নবাবগঞ্জেই আছেন। কিন্তু মেয়ে আবার বিএনপি করে।
 
গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, এ দোহার-নবাবগঞ্জের যিনি এমপি আছেন, বাংলাদেশে তার জন্ম নয়, তার জন্ম পাকিস্তানে। তার সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের কোনো সম্পর্ক ছিল না। ১৯৭৩ সালে তিনি বাংলাদেশে এসেছেন। এ দোহার থেকে গণতন্ত্রের অপশক্তিকে বিতাড়িত করবো। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি আমরা। এখন আমরাই গণতন্ত্র মুক্ত করবো, দেশের মানুষকে মুক্ত করবো, এ দেশ পরিচালনা করবো, আমরা মূদ্রা পাচারকারীদের আটক করবো।

বিএনপির এ নেতা বলেন, করোনায় মানুষ মারা যায়, আর করোনা টিকার ২৩ হাজার কোটি টাকার হিসাব নেই। এ টাকার হিসাব কে দেবে? শেখ হাসিনা এ টাকার হিসাব কীভাবে দেবে, সব টাকা তো বিদেশে পাচার করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এখন প্রতিটি জিনিসপত্রের দাম বাড়াতে মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা। এখন বলে কুমড়া দিয়ে বেগুনি বানাতে। সরকারকে বলবো, কাঁঠালে কী আমসত্ত্ব হয়? আমরা পাগলের দেশে আছি। এ দেশকে পাগলমুক্ত করতে হবে।

উপজেলার কলাকূপা গ্রামে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে কণ্ঠভোটে নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজাদুল ইসলাম হাই, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবুল কালাম নির্বাচিত হন। একইভাবে কণ্ঠভোটে দোহার থানা বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হন নজরুল ইসলাম মেছের ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ পারভেজ।

সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ডা. দেওয়ান মো. সালাউদ্দিন বাবু। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, অ্যাডভোকেট নিপুণ রায় চৌধুরী, তমিজ উদ্দিন, নাজিম উদ্দিন মাস্টার প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০২২
এমএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।