ঢাকা, রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

বাংলাদেশে কোনো দিন জাতীয় সরকার হবে না: কৃষিমন্ত্রী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১২ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২২
বাংলাদেশে কোনো দিন জাতীয় সরকার হবে না: কৃষিমন্ত্রী

টাঙ্গাইল: বাংলাদেশে কোনো দিন জাতীয় সরকার হবে না  বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।  

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, এদেশের মানুষ আপনাদের প্রত্যাখ্যান করেছে, দূরে ঠেলে দিয়েছে।

জাতীয় সরকার, রাজাকার-আলবদরের সরকার, বিএনপি-জামায়াতের সরকার বাংলাদেশে হবে না। জনগণের ভোটে যারা সংসদে বেশি আসন পাবে, তারাই দেশে সরকার গঠন করবে। স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে পৃথিবীর কোনো দেশে জাতীয় সরকার হয় না। যুদ্ধ, প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ জরুরি পরিস্থিতিতে এটি গঠিত হয়। কাজেই বাংলাদেশে কোনো দিন জাতীয় সরকার হবে না।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপির জাতীয় সরকার হবে রাজাকার, আলবদর, জামায়াতসহ বাংলাদেশ বিরোধী শত্রুদের সরকার। আওয়ামী লীগ দেশের বৃহত্তম, সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী দল। এ দলটির নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ দেশের বেশির ভাগ মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে এবং ৫০-৬০ ভাগ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জড়িত।  

এ আওয়ামী লীগকে বাদ নিয়ে জাতীয় সরকার করবে বিএনপি, সেটি কী জাতীয় সরকার হবে? এটি হবে রাজাকার, আলবদর, বিএনপি, জামায়াতসহ বাংলাদেশ বিরোধী শত্রুদের সরকার, যোগ করেন মন্ত্রী।  

তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে দেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল, জঙ্গি সৃষ্টি করেছিল, অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছিল, মানুষের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছিল। এছাড়া গত ১৬ বছর ধরে তারা ক্ষমতার বাইরে। সব মিলিয়ে বিএনপির পায়ের নিচে মাটি নেই ও একদম জনবিচ্ছিন্ন। সেজন্য বিএনপি নির্বাচন মানে না, নির্বাচনে আসে না। বার বার শুধু নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবি করে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, এদেশে আর কোনোদিন তত্ত্বাবধায়ক সরকার হবে না। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধান আমাদের সংবিধানে নেই, পৃথিবীর কোনো সংবিধানেও নেই। বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনেই বাংলাদেশে নির্বাচন হবে।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য মির্জা আজম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা এবং সদস্য রিয়াজুল কবীর কাওছার।  

সম্মেলন উদ্বোধন করেন টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক। প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা জোয়াহেরুল ইসলাম (ভিপি জোয়াহের)।  

বিশেষ বক্তা ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ।  

মির্জাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মীর এনায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন টাঙ্গাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনির ও আওয়ামী যুবলীগের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৮ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০২২
এসআই


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।