ঢাকা, সোমবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩১, ১৭ জুন ২০২৪, ০৯ জিলহজ ১৪৪৫

রাজনীতি

বাঘায় নেতাদের সামনেই আ.লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ!

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২২
বাঘায় নেতাদের সামনেই আ.লীগের ২ গ্রুপের সংঘর্ষ! আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনেই দুই গ্রুপের সংঘর্ষ। ছবি: বাংলানিউজ

রাজশাহী: রাজশাহীর বাঘা উপজেলা আওয়ামীলীগ শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনেই দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে।



সোমবার (২১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার শাহদৌলা সরকারি কলেজ মাঠে এ ঘটনা ঘটেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন শেষে মঞ্চে আমন্ত্রিত অতিথিরা আসন গ্রহণ করেন। এরপর কোরআন তেলওয়াত, গীতাপাঠ ও নেতাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। তার পরপরই সংঘর্ষ শুরু হয়। রাজশাহী জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও বাঘা পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্কাছ আলীর সমর্থকরা মঞ্চের সামনে আক্কাছ ভাই, আক্কাছ ভাই বলে স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সমর্থকরা। এতে উভয়ের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় মঞ্চের ওপরে চেয়ার ছুড়ে মারা, চেয়ার ভাঙচুর, কাঠের বাটাম, দেশীয় অস্ত্র, বাঁশের লাঠি ব্যবহার করা হয়। প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলে। এ সময় আতঙ্কে সম্মেলনে আসা লোকজন আত্মরক্ষায় দৌড়াদৌড়ি, ছুটোছুটি শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা সম্মেলনস্থল ত্যাগ করেন।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় ঢাকা থেকে আগত এক নেতার প্রেস সহকারী এমএসএ রেজা, বাঘা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আাব্দুল কুদ্দুস সরকার, শাহরিয়ার হোসেন, সিরাজুর ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, মুরাদ হোসেন, লিটন ভুঁইয়া, আলম হোসেন, সুজন আলীসহ অন্তত পক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে সাইফুল ইসলাম ও সিরাজুল ইসলামকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে ফের সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের সভাপতিত্বে সম্মেলন মঞ্চে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, সদস্য বেগম আখতার জাহান, আওয়ামীলীগ রাজশাহী জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার, রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ দারা ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট লায়েব উদ্দীন লাভলু।

জানতে চাইলে রাজশাহীর বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, পরিস্থিততি নিয়ন্ত্রণ করতে টিয়ারসেল নিক্ষেপ করা হয়। পরে পরিস্থিতি শান্ত হয়।

এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২২
এসএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।