ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

পানির দাম বাড়ানো হবে গণবিরোধী সিদ্ধান্ত: জিএম কাদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২
পানির দাম বাড়ানো হবে গণবিরোধী সিদ্ধান্ত:  জিএম কাদের

ঢাকা: জাতীয় পার্টি (জাপা) চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, পানির দাম বাড়ানো হবে গণবিরোধী সিদ্ধান্ত। পানির দাম বাড়ালে মানুষের কষ্ট আরও বেড়ে যাবে।

তাই কোনো ভাবেই পানির দাম বাড়ানো ঠিক হবে না। সম্প্রতি ওয়াসার বিশেষ বোর্ড সভায় পানির দাম ৪০ শতাংশ বাড়ানোর যে প্রস্তাব করেছে তা কোনো ভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
 
বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিবদের এক সভায় তিনি একথা বলেন।

জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেন, মহামারি করোনার কারণে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। চাকরি ও ব্যবসা হারিয়ে দেশে বেকারের সংখ্যা কয়েক কোটি। এমন বাস্তবতায় সংসার চালাতে সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছে। আবার প্রতিদিনই দ্রব্যমূল্য বেড়ে আকাশচুম্বি হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, রাজধানীর অনেকেই প্রতিমাসে পানির বিল দিয়ে প্রয়োজন মতো পানি পাচ্ছেন না। আবার অনেকের অভিযোগ ওয়াসা লাইনের পানি ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত হওয়ায় তা পান করা যায় না।  

তিনি বলেন, ঢাকা ওয়াসা নিজস্ব আয় দিয়ে পরিচালন ব্যয় ও উন্নয়ন প্রকল্পের ঋণ পরিশোধে হিমসিম খাচ্ছে এ অজুহাতে পানির দাম বাড়ানো কখনোই যৌক্তিক হতে পারে না। বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সাধারণ মানুষের অভিযোগে জানা যায়, ওয়াসার বিভিন্ন খাতে দুর্নীতি ও অপচয়ের কারণে অযৌক্তিক হারে উন্নয়ন ও পরিচালন ব্যয় বাড়ছে। যেটা পুষিয়ে নিতেই জনগণের ঘাড়ে অতিরিক্ত হারে পানির দাম চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ১০ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের তার বক্তব্যে প্রমাণস্বরুপ গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে বলেছিলেন, পদ্মা নদীর পানি শোধনের মাধ্যমে ঢাকা ওয়াসাকে দৈনিক ৪৫ কোটি লিটার বিশুদ্ধ পানি সরবরাহের জন্য ৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকার ‘পদ্মা জশলদিয়া পানি শোধনাগার’ নামে একটি প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। সে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হওয়ার ও সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধের পর দেখা যায় সেখান থেকে দৈনিক মাত্র ১৫ কোটি লিটার পানি পাওয়া যাচ্ছে। এতে করে প্রতি মাসে সরকারের ক্ষতি ১৭ কোটি টাকা বা বাৎসরিক ২০৪ কোটি টাকা।  

সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু, অতিরিক্ত মহাসচিব সাহিদুর রহমান টেপা, অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, সংসদ সদস্য (এমপি) ফকরুল ইমাম, এটিইউ তাজ রহমান, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, মেজর (অব.) রানা মোঃ সোহেল।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২
এসএমএকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।