ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি, মির্জা ফখরুলকে কৃষিমন্ত্রী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২১
মায়ের চেয়ে মাসির দরদ বেশি, মির্জা ফখরুলকে কৃষিমন্ত্রী

টাঙ্গাইল: ‘সরকার বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে তাজউদ্দীন আহমদের নাম উচ্চারণ করেনি’-বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এ মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।

তিনি বলেন, মার চেয়ে মাসির দরদ বেশি।

দেশ স্বাধীন হয়েছে ৫০ বছর। এ ৫০ বছরে বিএনপির কোনো নেতাকর্মী এক সেকেন্ডের জন্য একবারের জন্যও কি তাজউদ্দীন আহমদের নাম, জেনারেল এম এ জি ওসমানীর নাম উচ্চারণ করেছেন? করেননি। আওয়ামী লীগের সব নেতাকর্মী যে কোনো অনুষ্ঠানে প্রথমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করেন, শ্রদ্ধা জানান, তারপর জাতীয় চার নেতাকে স্মরণ করে অনুষ্ঠান ও বক্তব্য শুরু করেন।  

আওয়ামী লীগ সব সময়ই মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের প্রতি, মুক্তিযুদ্ধের নেতৃবৃন্দের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে বলেও মন্তব্য করেন মন্ত্রী।

রোববার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলা মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

আব্দুর রাজ্জাক আরও বলেন, আওয়ামী লীগ কখনও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে না। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির নেতারা অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করেছেন এবং বাংলাদেশকে পাকিস্তানের ধারায় ফিরিয়ে নিতে চেয়েছেন। তাদের মুখে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃতির কথা শোভা পায় না।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, শুধু বিএনপি, জামায়াত, রাজাকার ও আলবদর নয়, আন্তর্জাতিক চক্র, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে সমর্থন করে নাই, বার বার এদেশে বিপর্যয় ঘটাতে চেয়েছে, তারাও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে সারাক্ষণ ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এসব দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের উদাহরণ।

সরকার প্রতিবছর দেশের এক কোটি পরিবারকে ১০ টাকা কেজিতে চাল দিচ্ছে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশের গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা খাওয়ার জন্য যাতে কোনো কষ্ট না পায়, সেজন্য এক কোটি পরিবারকে ১০ টাকা কেজিতে চাল দেওয়া হচ্ছে। একইসঙ্গে ওএমএস, টিআর, কাবিখার মাধ্যমে চাল দেওয়া হচ্ছে। দেশে খাদ্য নিয়ে কোনো হাহাকার নেই, কোনো মানুষ না খেয়ে নেই। এমনকি মঙ্গাপীড়িত, দুর্গম চর এলাকা, উপকূলীয় এলাকা, দারিদ্র্যপীড়িত পাহাড়িসহ প্রতিকূল এলাকাতেও মানুষের খাদ্যের কষ্ট নেই।  

সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক। সখীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুতুব উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা এবং সদস্য এবিএম রিয়াজুল কবীর কাওছার।  

সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সংসদ সদস্য জোয়াহেরুল ইসলাম (ভিপি জোয়াহের)।  

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ছোট মনির, যুবলীগের সিনিয়র প্রেসিডিয়াম মামুনুর রশীদ, টাঙ্গাইল-৭ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী খান আহমেদ শুভ, সাবেক সংসদ সদস্য অনুপম শাজাহান জয়, সখীপুর পৌরসভার মেয়র আবু হানিফ আজাদ, আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আতাউল মাহমুদ ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শওকত সিকদার।

জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে নেতাকর্মীরা মিছিলে উপজেলা মাঠে আয়োজিত সম্মেলন স্থল জনসমুদ্রে পরিণত হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২১
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad