ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

রামপালে প্রতিপক্ষের হামলায় আ.লীগ কর্মী নিহত, আটক ৬

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২১
রামপালে প্রতিপক্ষের হামলায় আ.লীগ কর্মী নিহত, আটক ৬

বাগেরহাট: বাগেরহাটের রামপালে স্থানীয় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় ফিরোজ ঢালী (৪৫) নামে এক আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত হয়েছেন।  

শুক্রবার (১৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে রামপাল উপজেলার কাদিরখোলা এলাকায় স্থানীয় বেলাল ব্যাপারি ও তার লোকেরা ফিরোজের ওপর এ হামলা করেন।

এসময় ফিরোজের সঙ্গে থাকা আরও তিনজন আহত হন। পরে আহত অবস্থায় ফিরোজকে প্রথমে রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরবর্তীকালে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে ফিরোজ মারা যান। খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিহতের মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।

এদিকে হামলায় নিহতের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

নিহত ফিরোজ ঢালী রামপাল উপজেলার কাস্টোবাড়িয়া এলাকার মৃত আশ্বাদ আলীর ছেলে। তার এক ছেলে ও দুই মেয়ে রয়েছে। আহতরা হলেন, কাদিরখোলা এলাকার আওরঙ্গজেব (৪২), হানিফ (৩৮) আকরাম ঢালী (৪৭)। নিহত ও আহতরা সবাই রামপাল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও রামপাল সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জামিল হাসান জামুর অনুসারী।

রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও রামপাল সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জামিল হাসান জামু বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আমাকে (জামু) বাড়ির গেটে নামিয়ে দিয়ে ফিরোজ ঢালীসহ চারজন দুটি মোটরসাইকেলে কাদিরখোলা এলাকায় ফিরোজ বাড়ির দিকে যাচ্ছিল। কিছুদূর যাওয়ার পরে বেল্লাল ব্যাপারী, বেলালের ভাই বাকি ডাকাতসহ ৩০-৪০ জন ফিরোজদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে মারধর শুরু করে। এতে তারা জ্ঞান হারালে হামলাকারীরা রাস্তার ওপর ফেলে দিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে রামপাল ঝনঝনিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। অবস্থা গুরুত্বর হওয়ায় ফিরোজ ও হানিফকে পরে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে ফিরোজ ঢালী মারা যান। অপর আহতদের মধ্যে হানিফকে হাত ও পা ভাঙা অবস্থায় খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা রামাপাল চিকিৎসাধীন রয়েছে।

হামলার অভিযোগ অভিযুক্ত বেলাল ব্যাপারি বাংলানিউজকে বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে যাওয়ার অপরাধে জামুর লোকেরা আমাদের ওপর হামলা করেছে। সেই জেরে আমার লোকেরা ফিরোজের ওপর হামলা করে। তবে মারা গেছে কিনা আমি জানিনা।

রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুদ্দিন জানান, স্থানীয় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হন। আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ জনকে আটক করেছি। ফের সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।