ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

বাংলাদেশ বন্ধুহীন হয়ে পড়েছে: জিএম কাদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১
বাংলাদেশ বন্ধুহীন হয়ে পড়েছে: জিএম কাদের

ঢাকা: জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী কয়েকটি দেশ সফর করে করোনার টিকা না পেয়ে দেশে এসে গভীর হতাশা প্রকাশ করেছেন। গণমাধ্যমের সামনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ধনীদেশগুলো নাকি বাংলাদেশকে টিকা দিতে রাজি হচ্ছে না।

যদি তাই হয় তাহলে, বিশ্বে বাংলাদেশ বন্ধুহীন হয়ে পড়েছে।

শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বারিধারায় দৈনিক যুগান্তর ভবন মিলনায়তনে জাতীয় যুব সংহতির এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

জিএম  কাদের বলেন, ১৯৯৬ সালে পাসপোর্ট ভিত্তিক জরিপে বাংলাদেশের অবস্থান ছিলো ৯৬তম। একই জরিপে বাংলাদেশের অবস্থান নিম্নগামী হতে হতে বর্তমানে ১০৬ তম অবস্থানে এসেছে।

তিনি বলেন, বিশ্বে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী পরিষদের মর্যাদা বাড়তে পারে, কিন্তু সাধারণ মানুষের মর্যাদা মোটেই বাড়েনি, বরং কমেছে। তাই এখন বাংলাদেশি পাসপোর্ট নিয়ে কেউ দেশের বাইরে গেলে তাকে নানা রকম হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, দলীয়করণের কারণে দেশে সুশাসন নেই। সরকারি দল না করলে, পরীক্ষায় প্রথম হয়েও চাকরি পাওয়া যায় না। সরকারি দল না করলে সর্বনিম্ন দরদাতা হয়েও টেন্ডারে কাজ পাচ্ছেন না ঠিকাদাররা।
 
জিএম কাদের বলেন, দেশের মানুষ আবারও জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়। তাই দলকে সুসংগঠিত করতে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব জেলা কাউন্সিল শেষ করতে হবে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৮টি বিভাগীয় শহরে কর্মী সমাবেশ করা হবে। পরিস্থিতির উন্নতি হলে বিভাগীয় শহরে জনসভা করা হবে। তখন জাতীয় পার্টি রাজনীতির রোডম্যাপ ঘোষণা করবে।

তিনি বলেন, প্রতিটি নির্বাচনে অংশ নেবে জাতীয় পাটি। নির্বানের মাধ্যমে গণমানুষের কাছে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের উন্নয়ন ও সুশাসনের চিত্র তুলে ধরা হবে। নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে সর্বাত্মক কাজ করতে সবার প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দলের কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি বলেন, দেশের মানুষ আর আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায় না। দেশের মানুষ জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়।

জাতীয় যুব সংহতির আহ্বায়ক ও জাপা ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক এমপি এইচ এম শাহরিয়ার আসিফের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় যুব সংহতির যুগ্ম আহ্বায়ক- মো. হেলাল উদ্দিন, মো. সাইফুল ইসলাম, শেখ সারোয়ার হোসেন, দ্বীন ইসলাম শেখ, ওয়াশির রহমান দোলন, হারুন আর রশিদ, নেয়াজ আলী ভূঁইয়া, শফিকুল ইসলাম দুলাল, মুশফিকুর রহমান, সদস্য- মো. জসিম উদ্দিন, অ্যাডভোকেট মাঈন উদ্দিন মাঈনু, জিয়াউর রহমান বিপুল, মো. আ. হান্নান, মিজানুর রহমান দুলাল, শরিফুল ইসলাম শরিফ, মাহমুদ আলম, জাফর আহমেদ রাজু, সাজিদ রওশন ঈশান, গাজী এম এ সালাম,  মোবারক হোসেন তপু, জাকির হোসেন, আবুল কালাম আজাদ টুলু, আরিফুল ইসলাম রুবেল, কাজী শাহিন, মাহফুজুর রহমান মাফুজ, শাহিন আলিম, শওকত আকবর, এরশাদুজ্জামান ডলার, আবু সাদেক বাদল, আলমগীর হোসেন, মিজানুর রহমান, সালাম হাওলাদার, সোহাগ, গোলাম মোস্তফা, বেলায়াত হোসেন খান জুয়েল, ওমর আলী খান মান্নাফ, এডভোকেট নাসির উদ্দিন বায়জিদ, আনোয়ার হোসেন সোহেল, নজরুল ইসলাম।

সভা পরিচালনা করেন জাতীয় যুব সংহতির সদস্য সচিব আহাদ ইউ চৌধুরী শাহিন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১১, ২০২১
এসএমএকে/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।