ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

কোম্পানীগঞ্জে আ.লীগের ৪ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৫ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২১
কোম্পানীগঞ্জে আ.লীগের ৪ নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ আহতরা।

নোয়াখালী: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদলের চার অনুসারী গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।  

শনিবার (১২ জুন) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের টেকের বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

বাদলের অনুসারী চরকাঁকড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ও ইউপি সদস্য জামাল উদ্দিন জানান, গুলিবিদ্ধরা হলেন- চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হিয়াল্লাইগো বাড়ির বাসিন্দা আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম সবুজ (৫৫), তার ছেলে চয়ন (২০), ভাগিনা আরিয়ান (২৩) ও চরকাঁকড়া ইউনিয়নের রুপনগর গ্রামের বাসিন্দা হৃদয় (২৮) ।  

এর আগে, শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বসুরহাট বাজারের বসুরহাট-দাগনভূঁঞা সড়কের কোম্পানীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল ও তার অনুসারী উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা হাসিবুল হোসেন আলালের ওপর কাদের মির্জার অনুসারীরা হামলা করে। এ ঘটনার পর পুরো উপজেলায় অস্থিরতা বিরাজ করছে।

স্থানীয়রা জানায়, বাদলের ওপর মির্জার নেতৃত্বে হামলার খবরে চরকাঁকড়া ইউনিয়নের টেকের বাজারে অবস্থান নিয়ে বসুরহাট-পেশকারহাট রাস্তার মাথার প্রধান সড়ক অবরোধ করে বাদলের অনুসারীরা। এসময় পুলিশ এসে তাদের বাধা দেয়।  

একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে উপস্থিত নেতাকর্মীদের ওপর। তারপর পুলিশ আওয়ামী লীগ নেতা সবুজকে বেধড়ক মারধর করলে তার অনুসারীরা উত্তেজিত হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুঁড়ে। এতে আওয়ামী লীগ নেতা সবুজ, তার ছেলে ও এক ভাগিনসহ সহ চারজন গুলিবিদ্ধ হয়।

বাদলের ওপর হামলার ঘটনার পর শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে এ ঘটনায় কাদের মির্জার সম্পৃক্ততার অভিযোগে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে ও বসুরহাট পৌরসভার বিভিন্ন জায়গায় কাদের মির্জার বিচার দাবি করে সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে বাদলের অনুসারীরা। সমাবেশ থেকে বক্তারা কাদের মির্জার গ্রেফতার ও বিচার দাবি করেন।
 
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার জানান, রাস্তায় পুলিশের ওপর হামলা করলে পুলিশ পাল্টা গুলি ছোঁড়ে। এ ঘটনায় কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। তবে কতজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে তা তিনি নিশ্চিত করতে পারেননি।  

জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আলমগীর হোসেন জানান, কতজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে তা স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। তবে তারা রাস্তায় ব্যারিকেড দিয়েছিল। পুলিশ সরাতে গেলে তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এসময় আত্মরক্ষার্থে পুলিশ পাল্টা শর্টগানের ২০-২২ রাউন্ড গুলি নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এসময় ইটপাটকেলের আঘাতে ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে বলেও তিনি দাবি করেন।

জানা যায়, শনিবার (১২ জুন) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল তার ব্যক্তিগত গাড়িতে করে আওয়ামী লীগ নেতা আলালসহ ঢাকার উদ্দেশে বসুরহাট হয়ে রওনা করেন। যাত্রাপথে বসুরহাট বাজারের প্রেসক্লাব কোম্পানীগঞ্জের একটু সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে কাদের মির্জার ৪০-৫০ জন অনুসারী মিজানুর রহমান বাদলের গাড়ির গতিরোধ করে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।

** কোম্পানীগঞ্জে বাদলের ওপর আবদুল কাদের মির্জার অনুসারীদের হামলা

বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২১
আরএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।