ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

বঙ্গবন্ধু ফিরে না এলে স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়তো: আমু

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২১
বঙ্গবন্ধু ফিরে না এলে স্বাধীনতা হুমকির মুখে পড়তো: আমু ফাইল ছবি

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে ফিরে না আসলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়তো বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশে ফিরে না আসলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়তো।

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব স্থিতিশীলতা লাভ করে।

সোমবার (১১ জানুয়ারি) দুপুরে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে ১৪ দলের ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, স্বাধীনতার পর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে থাকা অস্ত্র সমর্পণ, মিত্র বাহিনীর সদস্যদের ভারতে ফেরত পাঠানো অসম্ভব হয়ে পড়তো। বঙ্গবন্ধু দেশে ফিরে আসার কারণেই স্বাধীন রাষ্ট্র বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার স্বীকৃতি আদায় দ্রুত সম্ভব হয়েছে।
‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাঁর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বে দেশ যখন উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার মহাসড়কে, তখন আন্দোলন সংগ্রামে ব্যর্থ হয়ে স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তি দেশবিরোধী নানা ধরনের ষড়যন্ত্রে  মেতেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ঐক্যবদ্ধ থেকে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলোয় দেশবাসীকে সজাগ থাকতে হবে। ’

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুবিহীন বাংলাদেশের স্বাধীনতা ছিল অপূর্ণ। তাঁর ফিরে আসার মধ্য দিয়ে বাঙালির আশা-আকাঙ্ক্ষা পরিপূর্ণতা পায়।

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সুসংহত করতে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন অতীব জরুরি ছিল। তিনি না ফিরলে স্বাধীনতা অর্থহীন হয়ে পড়তো।

জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশের শক্তিশালী রাষ্ট্রের বুনিয়াদ তৈরি করে গেছেন বঙ্গবন্ধু্। তিনি বেঁচে থাকলে বাংলাদেশে আর সাম্প্রদায়িক শক্তির উত্থান ঘটতো না।

আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাসের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন   জাতীয় পার্টি জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২১
এসকে/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।