ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

সরকার দেশে লুটপাটের রাজত্ব তৈরি করেছে: ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২১
সরকার দেশে লুটপাটের রাজত্ব তৈরি করেছে: ফখরুল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে বিএনপির মানববন্ধন ও সমাবেশ। ছবি: জিএম মুজিবুর

ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘এ সরকার দেশে লুটপাটের রাজত্ব তৈরি করেছে। মানুষের সব আশা আকাঙ্ক্ষা ধ্বংস করে দিয়েছে।

আমরা এ অনির্বাচিত সরকারকে পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, এখনও সময় আছে পদত্যাগ করুন। না হয় দেশের সচেতন মানুষ আপনাদের চলে যেতে বাধ্য করবে। ’

সোমবার (১১ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। অযোগ্য নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

সরকার পতনের আন্দোলনে দেশের সব রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি দেশের সব রাজনৈতিক দলগুলোকে আহ্বান জানাচ্ছি, আসুন আমরা আমাদের নিজেদের অধিকার, ভোটের অধিকার রক্ষা করার জন্য, দেশে থাকার জন্য এ সরকারকে হঠানোর জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন শুরু করি। ’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন বাংলাদেশের সবচেয়ে ঘৃণিত এবং নিকৃষ্ট প্রতিষ্ঠান। আপনারা দেখেছেন আমরা বারবার এ নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছি। বাংলাদেশে যারা বুদ্ধিজীবী আছেন, যারা দেশের রাজনীতি পর্যবেক্ষণ করেন এবং বিদেশে যারা বাংলাদেশের রাজনীতি পর্যবেক্ষণ করেন তারা বলেছেন, এ নির্বাচন কমিশন থাকাকালে বাংলাদেশে কখনোই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। ’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের মতো এখন স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো একইভাবে তারা (সরকার) লুট করে নিয়ে যাচ্ছে। রোববার (১০ জানুয়ারি) গাজীপুরে আমাদের বিএনপির প্রার্থীসহ অনেকেই হামলার শিকার হয়েছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন কিছুই করতে পারেনি।

ফখরুল বলেন, ‘২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক চক্রান্তের মধ্য দিয়ে একটা অবৈধ ও বেআইনি তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করা হয়েছিল। তারা অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ও সুচিন্তিতভাবে বাংলাদেশে বিরাজনীতিকরণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। সেসময় দেশনেত্রী খালেদা জিয়াসহ অসংখ্য রাজনৈতিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয় এবং মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়। সবচেয়ে কষ্টের বিষয় হচ্ছে আজ আওয়ামী লীগ সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সঙ্গে যোগসাজশ করে একইভাবে দেশে বিরাজনীতিকরণের প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। ’

ফখরুল বলেন, ‘আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নির্বাচনে হেরে গিয়েও তার একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জোর করে ক্ষমতা ধরে রাখার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমেরিকার প্রতিষ্ঠানগুলো, তাদের বিচার বিভাগ, পার্লামেন্ট ট্রাম্পের অপচেষ্টাকে কঠোরভাবে দমন করার কারণেই আজ আমেরিকায় গণতন্ত্র ধ্বংস হতে পারেনি। সেখানে গণতন্ত্রের জয় হয়েছে। ’

বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম সচিব খায়রুল কবির খোকন, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, ঢাকা মহানগর উত্তর যুবদলের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, ছাত্রদলের সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন, ইডেন কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব সানজিদা ইয়াসমিন তুলি প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২১
এমএইচ/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।