ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

পাবনা-৪ উপ-নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর অফিসে গুলিবর্ষণ, ভাঙচুর

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০
পাবনা-৪ উপ-নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীর অফিসে গুলিবর্ষণ, ভাঙচুর নৌকার প্রার্থীর অফিসে গুলিবর্ষণ, ভাঙচুর, ছবি: বাংলানিউজ

পাবনা (ঈশ্বরদী): পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান বিশ্বাসের দু’টি নির্বাচনী অফিসে গুলিবর্ষণ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে ঈশ্বরদী উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের আজিজুল তলা ও সলিমপুর ইউনিয়নের মানিকনগর স্কুল সংলগ্ন পূর্বপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।

তবে এসময় নির্বাচন অফিসে কোনো নেতাকর্মী ছিলেন না। তবে কেউ হতাহত হয়নি।

ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাহাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মতলেবুর রহমান মিনহাজ ফকির বাংলানিউজকে জানান, বুধবার দিনগত রাতে আজিজুল তলা গ্রামে বিএনপি-জামায়াতের দুর্বৃত্তরা আওয়ামী লীগের নির্বাচনী অফিসে এসে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়লে আশপাশে থাকা সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে ছোটাছুটি শুরু করে দেন। পরে ওই অফিসের চেয়ার টেবিল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে চলে যান তারা। এর কিছুক্ষণ পরই মানিকনগর পূর্বপাড়ার অফিসেও এ ধরনের ঘটনা ঘটে।

ঈশ্বরদীর সলিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান, আব্দুল মজিদ বাবলু মালিথা বাংলানিউজকে জানান, এ ঘটনার পর আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। এ ঘটনা মামলার প্রস্তুতি চলছে।  

আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নুরুজ্জামান বিশ্বাস বলেন, উপ-নির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব বুঝতে পারছেন যে নিশ্চিত পরাজয়। পূর্ব-পরিকল্পিতভাবে বিএনপি-জামায়াতের গুণ্ডাপাণ্ডা দিয়ে এ হামলা চালানো হয়েছে।  

তিনি এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রুত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

বিএনপি মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলানিউজকে বলেন, এত বড় মিথ্যা কথা আর হতে পারে না। আমি সাধারণত মিথ্যা বলি না। সেখানে যে ভোটের সেন্টার আছে, সেটা আমার বাড়ির এলাকা। শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এ কেন্দ্রে তাদের কোনো খবর থাকবে না। তাই আতঙ্ক সৃষ্টি করে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করছে। বরং আমাদের নেতাকর্মীর ওপর হামলা, পুলিশ দিয়ে গ্রেফতার তো আছেই। সাহাপুর ইউনিয়নের বিএনপির আহ্বায়ক রমজানকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।  

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাসীর উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, পাবনা-৪ আসনের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দু’টি নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও গুলি ছুড়েছে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে রাতেই পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবীরের নেতৃত্বে ঘটনাস্থল আমরা পরিদর্শন করেছি। কাউকে এখনো চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। আর ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে এখনো কেউ মামলা করেনি।

বাংলাদেশ সময়: ১২০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২০
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।