ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

মির্জাপুর যুবলীগের আহ্বায়ক শামীমের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০
মির্জাপুর যুবলীগের আহ্বায়ক শামীমের বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু মির্জাপুর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক শামীম আল মামুন

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক শামীম আল মামুনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, জমি দখল ও মাদকব্যবসার মাধ্যমে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে দুদক।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইন ২০০৪ এর ধারা ১৯ ও দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা ২০০৭ এর বিধি ২০ মতে গত ৯ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল জেলার রেজিস্ট্রারের কাছে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের তথ্য চেয়ে দুদকের টাঙ্গাইল সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা রাজু মো. সারওয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত একটি চিঠি দেওয়া হয়।

যার স্মারক নং-০০.০১.৯৩০০.৬১৫.০১.০০৩.২০/৯৮৭।

চিঠিতে বলা হয়, সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মির্জাপুর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক শামীম আলম মামুন, তার স্ত্রী আখি আক্তার, ছেলে ওয়াফী-আল-আইয়ান ও মেয়ে শাইরা শামীম রাফার নামে ২০০০ সাল থেকে আপনার অধীনস্থ সাব-রেজিস্ট্রার অফিসগুলোতে কোনো জমি, প্লট, ফ্ল্যাট, বাড়ি, দোকানসহ অন্যান্য সম্পত্তির রেজিস্ট্রেশন হয়েছে কি না তা জানা এবং রেজিস্ট্রি হয়ে থাকলে রেজিস্ট্রি দলিলের সার্টিফাইড কপি (সাদা কাগজে) পর্যালোচনা করা প্রয়োজন।  

একই সঙ্গে এসব তথ্য বৃহস্পতিবারের (২৪ সেপ্টেম্বর) মধ্যে দুদক জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা রাজু মো. সারওয়ার হোসেনের কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, এক সময়ের ছাত্রদল নেতা শামীম আল মামুন ১৯৯৫ সালে ছাত্রলীগে যোগদান করেন। দলীয় কোনো সভা-সমাবেশে অংশ না নিয়েও উপজেলার শীর্ষ স্থানীয় কয়েকজন নেতার আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে যান তিনি। গড়ে তোলেন এক সন্ত্রাসী বাহিনী। শুরু করেন বেপরোয়া চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ড। আর এসব কর্মকাণ্ড করে বর্তমানে শামীমের রয়েছে কোটি কোটি টাকার সম্পদ ও বিলাসবহুল বাড়ি-গাড়ি।

২০০৭ সালে চন্দ্রবিন্দু ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক অনন্ত দাস নামের এক ব্যক্তির কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন শামীম। বিষয়টি র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র‌্যাব) জানান অনন্ত। পরে গোপনে র‌্যাব সদস্যরা ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে উপস্থিত হয়ে হাতেনাতে চাঁদার টাকাসহ শামীম ও তার সহযোগীদের আটক করে। পরে এ ঘটনায় অনন্ত দাস বাদী হয়ে ২০০৮ একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন। মামলায় শামীমকে সাত নম্বর আসামি করা হয়। যার মামলা নম্বর ১০৮, তারিখ ২২-৪-২০০৮। ২৬ দিন কারাগারে থাকার পর জামিনে বের হয়ে বাদীকে বিভিন্নভাবে ভয় দেখিয়ে মামলাটি আপোষ করতে বাধ্য করেন শামীম। মামলা আপোষের পরপরই শামীমের ভয়ে এলাকা ছেড়ে সপরিবারে চলে যান অনন্ত।

বাংলাদেশ সময়: ২০৪৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।